দোহা, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রথম কোন আরব দেশ হিসেবে গতকাল মরক্কো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর দোহার রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মরক্কার সমর্থক।
এ সময় স্টেডিয়ামের বাইরে ছোটখাট কিছু সমস্যা সৃস্টির পরও স্পেনের বিপক্ষে জয় সমগ্র এলকায় ‘আরব গর্ব’ উদযাপনে মেতে উঠে সমর্থকরা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশুন্য ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-০ গোলে হারায় ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের দলটি।
ঐতিহ্য গতভাবে বিশ্বকাপ সমর্থকদের জমায়েতের জন্য নির্ধারিত স্থান দোহার সেন্ট্রাল সৌকে এ সময় বিপুল সংখ্যক ভক্ত সমবেত হয়। মধ্যরাতের আগে পুলিশ স্থানটি বন্ধ করে দেয়ায় বিভিন্ন প্রবেশপথে দলবদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় হাজার হাজার ভক্তকে।
দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের উদযাপনের অনুকরণে অনেক ফুটবল সমর্থককে দেখা যায় ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়ে রাজনৈতিক সংহতি প্রকাশ করতে। যেমনটি এই বিশ্বকাপে ঘটেছে।
মরক্কো ও ফিলিস্তিন পতাকা হাতে ভিড়ের মধ্যে থাকা ইউসুফ আকরাম এসময় বলেন,‘ এটি আরব ভুখন্ডে প্রথম বিশ্বকাপ এবং আমরা এখানে আরবের পতাকা বহন করছি।’ এই উদযাপনে যোগ দিয়েছিল সৌদি, মিশর ও কাতারি জনগনও। এসময় তারাও ঐতিহ্যবাহি এই মার্কেটে সমবেত হয়ে নিজ নিজ দেশের পতাকা নেড়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন। অবশ্য তাদের বেস্টন করে রাখে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
বিশ্বকাপের খেলা দেখতে আসা মিশরের আয়েশা বেদাভী বলেন, এই জিত আমাদের গর্বের বিষয় এবং আমরা মরক্কোকে নিয়ে গর্বভোদ করি । কোন দলটি এই পর্বে পৌঁছেছে সেটি বিবেচ্য নয়, বরং যতক্ষন একটি আরব দল আছে ততক্ষন আমাদের আশাও আছে।’
এর আগে তিনবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে পৌঁছে ছিল আরব দল। দলগুলো মধ্য হচ্ছে মরক্কো (১৯৮৬), সৌদি আরব (১৯৯৪) ও আলজেরিয়া (২০১৪)। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনায়ও এতটুকু বিচলিত করেনি এসব সমর্থকদের। বরং স্কয়ারে স্থাপিত টিভি স্টুডিওর বাইরে এসে রোনালদোকে আনুন’ বলে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদেরকে ।
বিশ্বকাপের এই খেলার সময় কাতারে বসবাস করা মরক্কান মোহাম্মদ বেনিউব বলেন,‘ মরক্কো যদি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারাতে পারে, তাহলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও সামলাতে পারবে। খেলা শেষে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম, কারণ আমি কখনো ভাবিনি এমন কিছু দেখতে হবে আমাদের । বিষয়টা আমার কাছে অনেক খারাপ লাগছে ।
অন্যদিকে আয়োজকরা জানায় ‘টিকেটবিহীন ভক্তরা মাঠে প্রবেশের জন্য স্টেডিয়ামের বেস্টনিতে আঘাত করায় তাদের সরিয়ে দিতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।