লিখন রীতি

স্টাইল শিট বা সংবাদপত্রের লিখন রীতি:

বাংলা ব্যকরণ: বাংলা অ্যাকাডেমি প্রণীত ব্যকারণ নীতি মেনে চলা হয়।

প্রচলিত কিন্তু ভুল এমন শব্দ এরিয়ে কম প্রচলিত হলেও সঠিক বানান লেখা হবে, যেমন ইতিমধ্যে না লিখে ইতোমধ্যে।

সম্বোধন:

কোন ব্যক্তির নামের আগে ‘জনাব’, ‘জনাবা’, ‘মি.’ ইত্যাদী লেখা হবে না।

ব্যক্তির পরিচয় লিখতে গিয়ে তার সমস্ত পদবি না লিখে সংবাদের সাথে সম্পর্কিত একটি বা সর্বোচ্চ দুইটি পদবি উল্লেখ করা হবে, যেমন, প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা…।

কারো নামের পূর্বে প্রশংসাসূচক কিছু লেখা হবে না যেমন, ‘বিশিষ্ট ব্যবসায়ী’ না লিখে ‘ব্যবাসায়ী’ লেখা হবে।

তারিখ:

খৃস্টীয় বা বঙ্গাব্দ সূচক কিছু লেখা যাবে না, যদি লেখার প্রয়োজন হয় তবে, খৃস্টীয় সনের জন্য খৃ. এবং বঙ্গাব্দের জন্য বা. হিজরি সনের জন্য হি. লিখতে হবে।

সংখ্যা তারিখের পর ‘ই’ লেখা হবে না, সরাসরি তারিখ ও মাস লেখা হবে, যেমন ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

বারের আগে ‘রোজ’ লেখা হবে না।

সংসদীয় শব্দ: ‘সাংসদ’ না লিখে ‘সংসদ সদস্য’ লেখা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম: বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংবাদ শিরোনামে সংক্ষেপে লিখিত হবে। যেমন, জাতীয় প্রতিকাগুলোতে ভিকারুন্নিসা, নটরডেম, জাবি, ঢাবি ইত্যাদি লিখিত হয়। এইভাবে দোহার ও নবাবগঞ্জের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের নামের সংক্ষেপিত রুপ:

জয়পাড়া পাইলট – জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

বেগম আয়েশা পাইলট – বেগম আয়েশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়

জয়পাড়া কলেজ – জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

ডিএন কলেজ – দোহার নবাবগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

শব্দগুচ্ছের সংক্ষিপ্তরুপ: এইচএসসি লেখা হবে, এইচ.এস.সি. লেখা হবে না। এই ধারায় বিএনপি, এমবিএ, এইচএসসি লেখা হবে। তবে সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ডট (.) লেখা হতে পারে।

নং, কোং, গং, সাং ইত‌্যাদী প্রচলিত কিন্তু ভুল সংক্ষেপন এড়িয়ে যেতে হবে। এর বদলে যথাক্রমে নাম্বার বা নম্বর, কোম্পানি, গ্রুপ, সাকিন লিখিত হবে।

বিদেশী শব্দ: যথাসম্ভব বিদেশী শব্দ এড়িয়ে বাংলা প্রতিশব্দ লিখিত হবে। যেমন, বিদ্যালয়।

যে কোনো বিদেশী শব্দে বাংলা অ্যাকাডেমির নতুন নিয়ম অনুযায়ী হ্রস্ব ই-কার লিখিত হবে, দীর্ঘ ঈ-কার বর্জনীয়। যেমন, কোম্পানি।