ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর মিয়াহাটি গ্রামে গতকাল রোববার সকাল ১১টায় মো. শাহিন (১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় আহতহয়েছে ৫ জন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের মিয়াহাটি এলাকায় ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে নির্মিত একটি রাস্তায় এলাকাবাসী চলাচল করে আসছে। মোজাহার পাঠান নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী কিছু বখাটে যুবক ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে রাস্তা বন্ধের চেষ্টা চালায়। এসময় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে মোজাহারের লোকজন ধারালো ছুরি দিয়ে রাস্তার কাজে বাধাদানকারী শাহিন নামে এক যুবককে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
শাহিন মিয়াহাটি গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে। শাহিনকে বাচাঁতে আসলে সন্ত্রাসীরা তাজুল ইসলাম (২৫) , বাহারুল ইসলাম (৩০), ও সাইফুল ইসলাম (৩০) সহ পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে। এলাকাবাসী তাদেরকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শাহিনকেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মিটফোর্ড মর্গে প্রেরণ করে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ হত্যার ঘটনা বুঝতে পেরে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পরিকল্পিতভাবে মোজাহার পাঠান ও সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ির ৫ টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তপন মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিনের এ রাস্তা বন্ধ করতে মোজহার পাঠান তার লোক দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে অতিরিক্তি পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
নবাবগঞ্জ থানার এস আই মুশফিকুর রহমান জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন। দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশীঅভিযান অব্যাত আছে। নিহতের বাবা সাহেদ আলী বলেন, সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকরে। মোজাহার পাঠানের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লোটাস ও উজ্জ্বলের নেতৃত্বে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়। তিনি এ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।