দোহার নবাবগঞ্জে মরিচে এখন অনেক ঝাঝ: ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

183
মরিচে

দোহার-নবাবগঞ্জের মরিচে এখন অনেক ঝাঝ। দোহারের জয়পাড়া বাজার, মেঘুলা বাজার, নারিশা বাজার, মুকসুদপুর বাজার, কার্তিকপুর বাজার আর নবাবগঞ্জের বান্দুরা বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, বাগমারা বাজার এবং কোমরগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাচা মরিচের দাম আকাশ্চুম্বী। সাধারণের ধরা-ছোয়ার বাইরে দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচে মূল্য এখন বাজার ভেদে ২০০-২৪০ টাকা। দোহারের অন্যতম বড় বাজার জয়পাড়া বাজারে ক্রেতাদের নাগালের বাহিরেই চলে যাচ্ছে মরিচসহ গাজর, শশা, পিয়াজের দাম।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সহজলভ্য হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন অঞ্চল হতে দোহারের জয়পাড়া বাজারে ভীড় করে ক্রেতা-বিক্রেতা। ক্রেতাদের চাহিদা সুযোগ নিয়ে ক্রমেই বিভিন্ন দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে।যার ভোক্ত ভোগী সাধারন জনগন। ভালােমানের এক কেজি কাঁচামরিচ কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ২২০ টাকা! তবে নিম্নমানের কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) এই প্রতিবেদক সরেজমিন দোহার- নবাবগঞ্জ উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় কাচা মরিচের সরবরাহ বেশি। এ কারণে দাম খানিকটা কম। একদিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্য খবর  সড়ক দুর্ঘটনায় নুর আলীর মেয়ের মৃত্যু

দক্ষিণ জয়পাড়া ক্রেতা আবুল হাসান বলেন, কয়েকদিন আগে যে কাঁচা মরিচ আমরা ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি কিনলাম, সেটাই এখন বেড়ে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় মরিচ কেনা দূরে থাক, হাত দেওয়ায় মুশকিল হয়ে পড়েছিল। দাম আগের অবস্থায় ফিরলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।

কাঁচা মরিচ বিক্রেতা কবির হোসেন ও লাল মিয়া বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই, সরবরাহ কমে গেছে। যে কারণে দাম চড়া।

মরিচ চাষী হেলাল বলেন, আমাদের খরচ বেশি। উৎপাদন কম হইছে। এখন দাম বাড়লে কি হবে, এখনতো বাইরের মরিচ সব। আমাগো মরিচের টাইম তো দামই পাই নাই। এরকম হইলে, আগামী বছর আর মরিচ চাষ করুম না।

ইউসুফপুর বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা শিরু বেগম বলেন, ১ কেজি কাঁচামরিচ যে কিনব সে সাহস করতে পারি না। গত এক সপ্তাহ ধরে, কাঁচামরিচের আকাশছোঁয়া দামে বাজারে ঝাঝ শুরু হয়েছে। তাই তরকারি খাওয়া কমাই দিছি।

এবিষয়ে দোহার উপজেলা কৃষি অফিসার ইয়াকুব মামুন জানান, দোহার উপজেলায় অন্তত ১৫ থেকে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচ উৎপাদন এর কাজে ব্যবহার করে কৃষকরা। নবাবগঞ্জে এর চেয়ে আবাদি জমি কিছু বেশি হবে। মরিচ চাষিরা বিগত ২ থেকে ৩ মাস আগেই উৎপাদনে ব্যস্ত ছিলো। কিন্তু, সেসময় দোহারে বৃষ্টি হওয়ায়, মরিচ উৎপাদন কম হয়। একই কারণে মরিচও পঁচে যায়। ফলে, দোহার-নবাবগঞ্জের কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে।

অন্য খবর  দাউদপুরের নৌকা বাইচ ২০১৭

তিনি আরও বলেন, তবে মরিচের মূল্য বাড়ায় দোহারে কৃষকদের কোন লাভ হচ্ছে না। এজন্য কৃষকদের সবজি চাষে উৎসাহ প্রদানে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া, দোহারে কাঁচামরিচের উৎপাদন কম হওয়ায়, দাম একটু বেশি রয়েছে।

আপনার মতামত দিন