নবাবগঞ্জের সাদাপুরে খালের ভাঙন দিশেহারা শতাধিক পরিবার

371

ঢাকার নবাবগঞ্জের সাদাপুর খালের করাল স্রোতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মার সঙ্গে ইছামতি নদীর সংযোগ খালটির দুপাড়ের শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর বর্ষা এলে খালটিতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে গত ৫ বছরে বাসস্থান হারিয়েছে কয়েকশ পরিবার। ভাঙনরোধে দ্রæত ব্যবস্থা না নিলে ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বে পরিবারগুলো।

এলাকাবাসী জানায়, খালটি দোহারের পদ্মা নদী থেকে জয়পাড়া হয়ে সাহেব খালী দিয়ে মূল ইছামতি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এ খালে প্রচন্ড স্রোত দেখা যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বর্ষার শুরু থেকে স্রোতের কারণে ভুমিক্ষয় হয়ে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়। ১ মাসের ভাঙনে সৈয়দপুর, হযরতপুর, সাদাপুর, আলহাদিপুর, সাহেব খালী গ্রামের কয়েকটি পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। স্রোতের তীব্রতায় ভেঙে পড়ছে দুপারের বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ ফসলি জমি। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ওই এলাকার ২ শতাধিক পরিবার আতংকে রয়েছে।

সাদাপুর গ্রামের ভাঙনকবলিত অঞ্জনা সাহা, যাদব সাহা, রনি সূত্রধর, বিদ্যুৎ সূত্রধর ও বিরেণ সূত্রধর বলেন, ‘ভোটের সময় সবাই আহে, ভোট ফুরাইলে আর কেউ খবর নেয় না। আমাগো সবার বাড়ি-ঘর বাইঙ্গা যাই তাছে, কেউ খবর নেয় না।’

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে যমুনা টিভি ও যুগান্তরের সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ১০

মিনতি সাহা বলেন, আমরা সাহায্য চাই না। বসতভিটায় থাকার নিশ্চয়তা চাই।

বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. হিল্লাল মিয়া বলেন, পদ্মা ও ইছামতির ওই শাখা খাল ভাঙনে প্রতি বছরই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এখনই ভাঙন রোধ করা না গেলে অনেক পরিবারই বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষের উচিত ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাহ উদ্দিন মনজু বলেন, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

আপনার মতামত দিন