আজ থেকে শুরু ‘জেনারেশন বিটা’ প্রজন্ম

11
আজ থেকে শুরু জেন বিটা প্রজন্ম

নতুন বছর শুরু হলো আজ বুধবার। এটা শুধু নতুন খ্রিষ্টীয় বছরই না, বিশ্বে বিশাল বদলও আসতে চলেছে। আজ থেকে যে শিশুরা জন্ম নিতে চলেছে, তারা একদম আলাদা হবে। ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে যেসব শিশু জন্মগ্রহণ করতে চলেছে, তারা হলো ‘জেনারেশন বিটা’। আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩৯-এর মধ্যে যেসব শিশুর জন্ম হবে, সবাই জেন বিটা। আগামী ১৫ বছর ধরে যেসব শিশু জন্মাবে, তারাই জেন বিটা নামে পরিচিতি পাবে। ২০৩৫ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা ১৬ শতাংশ হবে এ প্রজন্ম, এমনটাই মনে করছেন গবেষক মার্ক ম্যাকক্রিন্ডেল।

মার্ক হলেন সেই ব্যক্তি যিনি নামকরণ করেছিলেন আলফা প্রজন্মের। ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যারা জন্মেছে, তারা জেনারেশন আলফা। আবার ১৯৯৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের জন্ম, তারা জেন জেড, যাদের আমরা জেন-জি নামে চিনি। জেনারেশন বিটা প্রজন্ম প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হতে চলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর খুব বেশি নির্ভর করবে এই শিশুরা। পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য লড়াই বাড়বে। তারও সাক্ষী থাকবে এই  নতুন প্রজন্ম। বিশ্বে জনসংখ্যায় যে বদল আসবে, তাতে এ শিশুদের বড় ভূমিকা থাকবে।

অন্য খবর  এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা

কেন আলাদা জেনারেশন বিটা : দীর্ঘদিন ধরে সমাজ নিয়ে গবেষণা করছেন মার্ক ম্যাকক্রিন্ডল। তিনিই ‘জেনারেশন আলফা’ শব্দের প্রবক্তা। এবার ‘জেনারেশন বিটা’ সম্পর্কে মার্ক বলেছেন, গত ১৪ বছরে বিশ্বে যে শিশুরা জন্মগ্রহণ করেছে, তাদের চেয়ে আলাদা হবে নতুন প্রজন্ম। তাদের নানা ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। প্রযুক্তির সাহায্যও পাবে এই শিশুরা। এ প্রজন্মের শিশুরা সবচেয়ে বেশি দিন বাঁচবে। বিশ্বে এতদিন ধরে যত প্রজন্ম এসেছে, তার মধ্যে জেনারেশন বিটার-ই গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি হতে চলেছে। ২০২৫ থেকে ২০৩৯ সালের মধ্যে যে শিশুরা জন্মগ্রহণ করতে চলেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই সুস্থভাবে ২১০০ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকবে। আগামী দিনে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি হতে চলেছে। প্রযুক্তিরও অনেক উন্নতি হবে। এরই ফলে জেনারেশন বিটার সন্তানরা অতীতের সব প্রজন্মের চেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকবে।

বিশ্বে বড় বদল আসছেজেনারেশন বিটার শিশুরা ‘জেন ওয়াই’-এর কম বয়সি এবং ‘জেন জেড’-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিদের সন্তান। এ নতুন প্রজন্ম আগামী দিনে বিশ্বে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে। সমাজে বদল, জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব জনসংখ্যায় বদল, দ্রুততর নগরায়ণের মতো সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করতে হবে জেনারেশন বিটাকে। কতটা আলাদা হবে বিটা বেবিদের জীবন? এই নতুন প্রজন্মের গোটা জীবনটাই প্রযুক্তি দিয়ে মোড়া হবে। ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি স্তরে ঢুকে পড়বে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। তারাই জীবন পরিচালনা করবে। – দ্য ইকোনোমিক টাইমস

আপনার মতামত দিন