২০১৩ সালে ঢাকার দোহার উপজেলার লটাখোলা করম আলীর মোড় সংলগ্ন ব্রিজ টি দেবে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। দোহার পৌরসভার অন্তর্গত পদ্মানদীর শাখা খালের উপর নির্মিত এই ব্রিজটির পিলারের মাটি সরে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে উপজেলা সদরের সাথে ৪টি ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোক যোগাযোগে বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম দুর্ভোগে আছে। আর এই ব্রিজটি অকেজো হওয়ায় খালের অন্য পাড়ের মানুষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করছে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার ঘুরে।
উপজেলা সদরের সাথে মাহমুদপুর ও বিলাসপুর ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এই ব্রিজটি। ফলে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে চর অঞ্চলের সাধারন মানুষ আছে চরম ভোগান্তিতে। আর পিলারের নিচের মাটি সরে গিয়ে মাঝ খানে দেবে গিয়ে উচু নিচু হওয়ায় প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষ।
দোহার পৌরসভার এই ব্রিজটি নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করায় এই করুন অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন । দীর্ঘ দিনের এ সমস্যার কথা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপির কাছে আবেদন করেও কোন ফল হয়নি অভিযোগে ভুক্তভোগীদের।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আ. রহিম মিয়া জানান, এটি আমাদের পৌরসভার মধ্যে পড়েনি। মাহমুদপুর ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। তবে মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন ব্রিজটি পড়েছে দোহার পৌরসভার মধ্যে। আমাদের ইউনিয়নে পড়ার প্রশ্নই উঠেনা।
দোহার উপজেলার পৌরসভার অর্ন্তগত লটাখোলায় পদ্মা নদীর শাখা খালের উপর এই ব্রিজটি ২০১৩ সালে মাঝ খানে থেকে দেবে জায় অজও শুরু হয়নি কাজ। অকেজো থাকার ফলে খালের অন্য পাড়ের মানুষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করছে প্রায় ২/৩ কিলোমিটার ঘুরে। এই ব্রিজ দিয়ে দোহারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাএ/ছাএীরা যাতায়াত করে। উপজেলা সদরে হাসপাতাল, ব্যাংক, বীমা, শপিংমল ও দোহার থানার অবস্থান হওয়ায় মানুষকে যেতে হচ্ছে শত দূর্ভোগের মাঝেও। তাই সাধারন মানুষ চায় এই দুর্ভোগের হাত থেকে বাচতে। সরকারে কাছে আমাদের আবেদন ঢাকা জেলার দোহার থানা লটাখোলা, মাহামুদপুরের এই ব্রীজ টি জেনো অতি তারাতারি মেরামত করা হক ।
এই দুর্ভোগ দুর করার জন্য আগামী ৫ জুন ২০১৬ ইং রবিবার সকাল ১০ টায় ঢাকা দোহারের করম আলীর মোড়ে লটাখোলা মাহমুদপুর সংযোগ ব্রিজ দ্রত মেরামতের দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।