দোহার নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ডাকা হরতালের কোনো সারা ছিল না। যান চলাচল ও অফিস আদালত সবই প্রতিদিনের ন্যায় স্বাভাবিক ছিলো।
ঢাকার দক্ষিণের তিন উপজেলা দোহার নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রদলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সারা কোনো এলাকায়ই ছিলো না। সেই সাথে ঢাকা-বান্দুরা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। বিএনপিসহ ২০দলের কোনো নেতা-কর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি।
কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর, রামেরকান্দা, তুলসীখালী, সৈয়দপুর ও কদমতলী সড়কে যান চলছে পুরো দমেই। তবে রোববার রাতে রামেরকান্দা নামক স্থনে দুর্বৃত্তরা যমুনা সার্ভিসের এক বাসে আগুন দেয়। বাসটি দোহার-নবাবগঞ্জ-ঢাকা সড়কে চলাচল করে।
হরতালের কোনো উত্তাপ না থাকায় আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশকে বাদাম খেয়ে, পত্রিকা পড়ে, আর গল্প করেই সময় কাটাতে দেখা গেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান নিউজ৩৯ কে বলেন, নবাবগঞ্জ কোনো হরতাল নেই শান্তিপূর্ণ ভাবে মানুষ চলাফেরা করছে। কোনো মিছিল বা পিকেটিং হয়নি।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ডা. শহীদুল ইসলাম বলেন, দোহার নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জের কোথাও কোনো মিছিল বা পিকেটিং চোখে পড়েনি। জনজীবনের সব কিছুই স্বাভাবিক ছিলো। বিএনপি বা ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মীও রাস্তা নামেনি পরিবেশে এমনটাই মনে হয়েছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর-রশিদ উসমানি বলেন, পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানির মধ্যে রেখেছে। প্রতি রাতেই নেতাকর্মীদের বাসায় হানা দিচ্ছে। এই ভয়ে অনেকেই বাড়ী ছাড়া। তবে নবাবগঞ্জে হরতাল জনগণ পালন করছে।
ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দলের সিনিয়র নেতারা আরাম আয়েশী হওয়াতে কর্মীরা তাদের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। ঝূঁকি নিয়ে কে যাবে পিকেটিং আর মিছিল করতে।