শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে দোহার সিবিওর সেমিনার

466

শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়া রোধে দোহার পৌরসভার উদ্যোগে উত্তর জয়পাড়া সোনা মিয়ার মাঠে শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারটার সময় এক আলোচনা ও সচেতনতা মুলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সাধারন মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে সিবিও। 

সকাল দশটার সময় অনুষ্ঠান শুরু করার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে এগারটায় কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। 

কয়েক দিন আগে সিবিও এর তত্বাবধানে এক জরিপে দেখা যায়, শিক্ষাক্ষেত্রে দোহার পৌরসভার সবচেয়ে অনগ্রসর স্থান দোহার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড। এ লক্ষে সাধারন মানুষকে শিক্ষাসম্বন্ধে আরো সচেতন করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দোহার পৌরসভার। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আলহাজ্ব রহিম মিয়া বলেন যে, “৩নং ওয়ার্ডের মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা স্কুল থেকে বেশি ঝরে পড়ে। এই ওয়ার্ডে শিক্ষিত মানুষের হার ও অনেক কম। যা লজ্জাজনক।” তিনি উপস্থিত মকল অভিভাবকদের তাদের ছেলেমেয়েকে এইচএসসি পাশ করে কাজের জন্য প্রবাশে যেতে উৎসাহী করেন। 

সভায় পৌরসচিব নাসরিন জাহান বলেন, দোহারের শিক্ষার হার বাংলাদেশের অন্যান্য যে কোন অঞ্চলের চেয়ে কম। এবং দোহার পৌরসভার মাঝে সবচেয়ে কম ৩ নং ওয়ার্ড। ৩ নং ওয়ার্ডের ৩০০ পরিবারের মাঝে জড়িপ চালিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার এই ওয়ার্ডে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অনেক বেশি। যেখানে মেয়েদের হার ১১% সেখানে ছেলেদের হার তিনগুনের ও বেশি ৩৫%।

অন্য খবর  এবার পুলিশের পরিচয়ে হাজারবিঘায় ডাকাতি

দোহার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মসিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে সেই লক্ষে সিবিও কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন যে, ৩ নং ওয়ার্ডের মোট পরিবার ৩১২ টি। এবং তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৬৮২ জন। ৫ – ২২ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা মাত্র ৪০০ জন। এর মাঝে ২২৯ জন ছাত্রী ও ১৭১ জন ছাত্র। এছাড়াও ছেলেদের ঝরে যাওয়ার ঝরে যাওয়ার হার এতো বেশি যে ২০১২ সালের এইচএসসি পরীক্ষা ৬৫ জন মেয়ের বিপরীতে মাত্র ৯ জন ছেলে ছিল।

সিবিও সভাপতি তেনজিং চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, সিবিও প্রতিষ্ঠা করার পর এই ওয়ার্ডে শিক্ষার হার বেড়েছে, সেই সাথে মাদক ব্যবসা, জুয়া, ইভটিজিং প্রতিরোধে তারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি ছাড়াও এর পর আরো বক্তব্য রাখেন এলজিইডির কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন। তিনি বলেন যে, যেহেতু দোহারে প্রবাসী সংখ্যা বেশি সেহেতু লেখাপড়া শেষ করে বিদেশে গেলে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এবং বেশি বেতন পাওয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এছাড়াও আরো বক্ত্যব্য রাখেন ৩ নং ওয়ার্ডের কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার খালেদা আক্তার, সেচ্ছাসেবক দল নেতা বিদ্যুৎ, সিবিও সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম।

অন্য খবর  স্যামস-৯২ এর খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

অনুষ্ঠান শেষে সকল অভিভাবক ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে পৌর মেয়র আলহাজ্ব রহিম মিয়া শপথ করেন যে, কোন ছেলে মেয়েকে অন্তত এইচএসসি পাশ না করা পর্যন্ত তারা প্রবাসে পাঠাবেন না।

আপনার মতামত দিন