বিলাসপুরে বহুল আলোচিত সংঘর্ষে ৫৬ জনসহ ৮০/৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংঘর্ষে নিহত মোকছেদ খন্দকার ওরফে মুসা খন্দকারের ছেলে মোতালেব খন্দকার। মামলায় বাসায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও হত্যার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে দন্ড বিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৯/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এতে আসামী করা হয় ১. আনোয়ার চোকদার(৩৫) ২. খোকত চোকদার(২২), ৩. তোতা চোকদার(৩৫), ৪. আলী খন্দকার(৭০), ৫. মোতালেব খান(৫০) পিতা মৃত মিছির খান, খাড়াকান্দা ৬. হুকুম আলী চোকদার(৬৫), ৭. রাশেদ চোকদার(৩০), ৮. বাশার চোকদার(৪০), ৯. তারা মিয়া চোকদার(৫২), ১০. রাসেল চোকদার(৩০), ১১. লিয়াকত চোকদার(৩৫), ১২. সাদ্দাম চোকদার(২২), ১৩. আলমগীর চোকদার(৫৫), ১৪. রাজন চোকদার(৩০), ১৫. ফরহাদ শেখ(৩৫), ১৬. মনু শেখ(৫২), ১৭. মজিবুর শেখ(৩৮), ১৮. ছুরফান শেখ(৬০), ১৯. আল হক খন্দকার(৩০), ২০. শের আলী মাদবর(৫০), ২১. মোহন চোকদার(৬৫), ২২. দুদু মিয়া চোকদার(৪২), ২৩. হারুন চোকদার(৪০), ২৪. ফিরোজ চোকদার(৪২), ২৫. সেলিম চোকদার(৩৪), ২৬. লিটন চোকদার(৩৭), ২৭. আনেছ মাঝি(৩৫), ২৮. জানাত মাঝি(৪০), ২৯. ইছহাক চোকদার(৬৫), ৩০. জাহাঙ্গির আলম(৩৮), ৩১. ইউনুছ চোকদার(৫০), ৩২. ওদু চোকদার(৩৫), ৩৩. সেলিম চোকদার(৪০), ৩৪. কামাল চোকদার(২০), ৩৫. সোহান চোকদার(২০), ৩৬. বিশা মাদবর(৫০), ৩৭. সোহেল(২২), ৩৮. রোকন ব্যাপারী(৫৫), ৩৯. তোতা চোকদার(৫০), ৪০. শাহিন চোকদার(২৫), ৪১. আবুল বয়াতী(৪০), ৪২. খোকন বয়াতী(২৫), ৪৩. জাহাঙ্গীর চোকদার(৪৫), ৪৪. স্বপন চোকদার(২০), ৪৫. রাহিম চোকদার(৪৮) পিতা মৃত ওমেদ আলী চোকদার, ৪৬. শাহ জাহান চোকদার(৫০), ৪৭. হুমায়ন(৩০) পিতা ইউনুছ মোল্লা, ৪৮. তোতা শেখ(৬০), ৪৯. আক্তার(৩২), ৫০. আল আমিন চোকদার(৩৫), ৫১. আলমাছ উদ্দিন(৪০)পিতা ইউনুছ মোল্লা, ৫২. জহিরুদ্দিন জহু(৫০), পিতা মুত করম আলী, খাড়াকান্দা, ৫৩. রাবিয়া বেগম(৬০), ৫৪. সুরিয়া বেগম(৩৫), ৫৫. আছিয়া আক্তার(৩৫), ৫৬. রাজিয়া বেগম(৪৫) সহ অঞ্জাতনামা ৮০/৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পূর্ব বিরোধের কথা উল্লেখ করে মামলাতে বলা হয়েছে মোতালেব খান, হুকুম আলী চোকদার, রাশেদ চোকদার, বাশার চোকদার, আলমাছ উদ্দিন, জহিরুদ্দিন জহু এর পরিকল্পনা ও মোতালেব খানের নির্দেশে আসামীগন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ৬ জানুয়ারী সকাল ৯টায় রামদা, ক্রিস, চাইনিজ কুড়াল, ট্যাট্যা, চাপাতি, ছেন, লাঠিসোটা নিয়ে মকবুল মুন্সীর বাড়িতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে আসামীগনের হাতে থাকা দা, রামদা, ছেনী দিয়ে হাতে, পেটে ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে। অতপর আসামীগন মুছা খন্দকারের বাসায় হামলা করে মুসা খন্দকার ও তার পুত্র মাসুদ খন্দকারকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় মুছা খন্দকার ও তার পুত্র মাসুদ খন্দকারকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষনা করে। এসময় আসামীদের হাতে আহত হয় ১. আনোয়ার খন্দকার(৫০), ২. শাহ জালাল খন্দকার(৬০), ৩. আসলাম মোল্লা(২২), ৪. রিয়াজুল মোল্লা(৪২), ৫. সালেহা বেগম(৫০), ৬. সুমন(১৬), ৭. বছিরুন নেছা(৫৩), ৮. দেলোয়ার খন্দকার(৪২), ৯. শাহ আলম খন্দকার(২৮)। এদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে আরো অভিযোগ করা হয় কাটাখালীস্থ মোতালেব খানের বাসায় ৫ জানুয়ারী রাত সাড়ে দশটার দিকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়।