শামেলা বেগম, দোহারের নারিশায় নদী ভাঙ্গনের শিকারদের একজন। বয়স প্রায় ৫৫ ছুই ছুই। স্বামী হাসিম ব্যাপারী মারা গেছেন প্রায় ১০ বছর হতে চললো। নিউজ ৩৯ এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি অশ্রু ধরে রাখতে পারেন নি । জীবনের বেশির ভাগ সময় এখানে কাটিয়েছে বলে আবেগটা হয়তো বেশি।
অশ্রু সজল চোখে তিনি বলেন, “৪০ বছরের বেশি সময় এই বাড়িতে থাকছি, সেই বাড়ি আজ শেষ হইয়া গেলো।“ প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় যে পদ্মার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল সেই পদ্মা হটাৎ হয়ে উঠলো এমন নিষ্ঠুর ও নির্মম।
এর আগে সংবাদ সগ্রহের কাজে নারিশা গেলে চোখে পরে ২০ থেকে ২৫ মিটার উঁচু রক শিমুল গাছের। জানা যায় সেই গাছটি শামেলা বেগমের নিজ হাতে লাগানো। সেই গাছের শেকড় তুলতে দেখা যায় এই বৃদ্ধকে। গাছের মতো তারও আজ হারিয়ে যাওয়ার দ্বার প্রান্তে।
বসত বাড়ি হারিয়ে কোথায় যাবেন, কী করবেন এই প্রশ্নের জবাবে শামেলা বেগম বলেন, “বোনের বাড়িতে উঠছি এখন।“
এই রকম কয়েকশত শামেলা বেগমের খোঁজ পাওয়া যাবে নারিশাতে। প্রায় ৬০ বছরের পুরনো ও সমৃদ্ধ এই জনপদ এখন পদ্মার গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।