জয়পাড়া কলেজে ফলাফল বিপর্যয়, দায় কার ?

439

সারা দেশে জিপিএ ৫ ও উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হারের বন্যা বয়ে গেলেও দোহারের এইচএসসি রেজাল্ট সেই আগের মতোই অতল তিমিরেই আছে। বরং দিনে দিনে আরো অধঃপতনে যাচ্ছে দোহারের শিক্ষাব্যবস্থা।

বিগত দিনের বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট দুঃখজনক ভাবে সেই দিকেই ইংগিত করছে। ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৮৪% এবং সারাদেশে পাশের হার ৭৮%; অথচ দোহার উপজেলায় পাশের হার ৭৫.৩৩% ।

এবার দোহারে পাশের হারের দিক থেকে জয়পাড়া কলেজের অবস্থান সর্বনিম্ন। কিন্তু ঢাকা জেলার পাশের হার ধরে রাখা তো দূরে থাক জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ধরে রাখতে পারে নি সারা দেশের পাশের হারও। ৬৬ শতাংশ পাসের এক লজ্জা জনক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দোহারের সবচেয়ে প্রাচীন এই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। দিনে দিনে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মানের অধপতনের কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে নিউজ৩৯।

ছাত্র রাজনীতি উন্মুক্ত থাকলেও সেটা খুব বেশি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করে না। বরং শিক্ষকদের মধ্যকার দলাদলি, কলেজ ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে রাজনীতিকরণ এবং অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ ও অযোগ্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের এম.এ. ডিগ্রীধারী শিক্ষকদের উপর প্রভাব খাটানো; সর্বপরি টেস্ট পরীক্ষা না দিয়ে বা টেস্টে অযোগ্য হলেও ঢালাও পাশ এ বিপর্যয়ের কারণ। 

অন্য খবর  জয়কৃষ্ণপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলক উদ্বোধন

এই ব্যাপারে নিউজ৩৯ যোগাযোগ করে  জয়পাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে। কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা এই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন “আমরা আমাদের রেজাল্ট নিয়ে সন্তুষ্ট না, এই রেজাল্ট থেকে কিভাবে উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে আমরা বৈঠকে বসছি।”

জয়পাড়া কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ তাপস কুমার নন্দীর বলেন, “আসলে এই রেজাল্ট নিয়ে আমরা খুশি না। আসলে এই বারের ব্যাচটা দূর্বল ছিল এটাই হয়তো মূল কারণ।”

জয়পাড়া কলেজের এই ফলাফল বিপর্যয় নিয়ে নিউজ৩৯ কথা বলেন দোহারের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব হায়াত আলী স্যারের সাথে। তিনি বলেন, “আসলে জয়পাড়া কলেজে নিয়ম শৃঙ্খলা বলতে কিছু আছে কি না তা আসলে আমি জানি না। শিক্ষক-ছাত্রদের কেউ ক্লাসমুখি না, শিক্ষকরা নিজেদের কোচিংমুখি আর ছাত্ররাও কোচিংমুখি। প্রতিদিন সকালে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে যাওয়ার পরিবর্তে কলেজ মার্কেটের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারগুলোতে তাদের দেখা যায়, তাছাড়া কলেজে ক্লাসের পরিবর্তে তারা বিভিন্ন চাইনিজেই তাদের দেখা যায়। আর তাদের কলেজমুখি করার কোন উদ্যোগ তাদের নেই। আর কলেজে যারা ম্যানেজিং কমিটিতে আছে তারা আসলে কলেজের মতো কোন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং থাকার যোগ্যতা আছে কিনা সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।”  

আপনার মতামত দিন