নভেম্বর মাস থেকে কোন রকম সরকারি অনুমতি ছাড়াই দোহার উপজেলার নারিশা ইউনিয়নে নদীর বিস্তীর্ণ এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বালুব্যবসায়ীরা। শ্যালো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী জনবসতি,আবাদি জমি ধ্বস ও ভাঙনের আশংকায় ভীত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বার বার তাগিদ দিয়েও বালু ব্যবসাযীরা কোন পাত্তাই দিচ্ছেনা ।
এলাকাবাসির অভিযোগে জানা যায়, প্রভাবসালী বালুব্যবসায়ী ড্রেজিং বসিয়ে বালুর স্তূপ করে বালু বিক্রী করছে। অপর দিকে জয়পাড়াতে আক্তার নামে এক ব্যক্তি শ্যালো মেশিন বসিয়ে পাইপের সাহায্যে বালু তুলছে। শুকনো মওশুমে পদ্মানদীর উল্লেখিত পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছেন।
অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে না জানিয়ে কিভাবে নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে সেটা তাদের বোধগম্য নয়। এলাকাবাসি বলছেন শুকনো মওশুমের কারণে নদীর পানি বর্তমানে কমে গেছে, তাই ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে প্রবল স্রতে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তখন বাড়িঘর ও আবাদি জমির নদী গর্ভে বিলিন হবার আশংকায় তারা রীতিমত প্রমোদ গুণছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)নূরুল করিম ভূঁইয়া বলেন সরকার অনুমোদিত বালু মহাল ছাড়া অন্য কোন স্থান থেকে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। তবে বেআইনিভাবে বালু তোলার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন ও অন্যায়কারী যেই হোক না কেনো তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন ।