ঢাকার দোহার উপজেলার কার্তিকপুর ও সুন্দরীপাড়া এলাকায় গত সোমবার এক রাতে দুই বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের কোপে তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কার্তিকপুর এলাকার সাঈদ আলী মেম্বারের বাড়িতে ২০-২৫ জনের একটি ডাকাতদল হানা দেয়। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির পেছনের দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে এবং আসবাবপত্র ভেঙে মালপত্র লুট শুরু করে। সাঈদ আলী ও তাঁর ছেলে সাব্বির হোসেন তাতে বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁদের জখম করে। ঘরের অন্য সদস্যদের হাত-পা বেঁধে রেখে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, ৬০ হাজার টাকা ও ১১টি মোবাইল ফোনসেটসহ বিভিন্ন মালপত্র লুটে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
এর ঘণ্টাখানেক পর একই ডাকাতদল পাশের সুন্দরীপাড়া এলাকার প্রবাসী হাফেজ দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতদল বাড়ির পেছনের জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনসেট লুটে নেয়। এ সময় দেলোয়ারের মা রাবেয়া খানম (৭০) বাধা দিতে গেলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। ঘটনা টের পেয়ে এলাকার লোকজন একত্রিত হয়ে ধাওয়া করলে ডাকাতদল পাশের পদ্মা নদীতে থাকা ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপর দোহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ঘটনায় গুরুতর আহত সাঈদ আলীকে প্রথমে কার্তিকপুর জেনারেল হাসাপাতালে পরে দোহার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাবেয়া খানম ও সাব্বির হোসেনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দোহার থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালপত্র উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।