মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চরকুশাই থেকে দোহার থানা পুলিশ দুই ডাকাত ব্যবসায়ীক আটক করেছে। তারা দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডাকাত ভাড়া করে এনে দোহার-নবাবহঞ্জ উপজেলায় ডাকাতি করাতো।
আটকরা হলেন- মাহমুদপুর ইউনিয়নের মেম্বার চরকুশাই চর গ্রামের মৃত শেখ নজিরের ছেলে শেখ বাচ্চু (৩৫) ও কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরীপাড়া গ্রামের আজিম প্রামানিকের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মাথা মোটা রাজ্জাক (৪৫)।
গত কয়েক বছর ধরে ডাকাতের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে এই উপজেলার সাধারন মানুষের। একরে পর এক ডাকাতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল এই উপজেলার সাধারন মানুষ। এতো দিন এই এলাকার মানুষের ধারনা ছিল বাইরের এলাকার লোকজন এই ডাকাতির সাথে জড়িত। কিন্তু এই দুই ডাকাত ব্যবসায়ী আটক হবার সাথে সাথে পুরো ধারনাই পাল্টে গেছে। নিউজ ৩৯ এর অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তখ্য।
যানা গেছে কত কয়েক বছরের প্রত্যেকটা ডাকাতির সাখে এই দুই জন জড়িত। তারা দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতো। এবং তারপর তারা আন্তজেলা ডাকাত দলকে ভাড়া করে এনে এই এলাকায় ডাকাতি করতো। এবং ডাকাতির বিনিময়ে তাদের একটা নির্দিষ্ট টাকা দিতো। সোজা কথায় তাদের ভাড়া করে এনে ডাকাতি করাতো তারা। এবং ডাকাতির সময় যে মালপত্র তারা বিক্রি করতো এবং যে লাভ হতো তা তারা দুই জন ভাগ করে নিতো।
এই দুই জনের উপর কয়েক দিন ধরেই নজরে রাখছিল দোহার থানা পুলিশ। মঙ্গলবার বাচ্চু কাচারিঘাট এলাকায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিতে থাকে এবং সে সময় তারা এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়ে। এবং তাদের মারধোর করে এলাকাবাসীর কাছে সোপর্দ করে। পুলিশের জেরার মুখে সে তার দলের আরেক সদস্য রাজ্জাকের নাম জানায় এবং পুলিশ তাকে সুন্দরীপাড়া থেকে গ্রেফতার করে। এবং ঢাকা থেকে ২৫ সদস্যের ডাকাত দল আসার কথা রয়েছে বলে সে জানায় কিন্তু তারা আগেই খবর পেয়ে যাওয়া আর আসে নি।
এই ডাকাতদের ছাড়ানোর ব্যাপারে থানায় ব্যাপক দ্যান-দরবার শুরু হয়ে গেছে। নিউজ ৩৯ এর কাছে তথ্য থাকার পরও দোহার থানা পুলিশ নিউজ ৩৯ কে সহযোগিতা করে নি। প্রথমে তারা ডাকাত আটকের কথা স্বীকার করে নি তারপর আবার বলেছে তাদের তারা চালান করে দিয়েছে। যদিও তারা সেসময় থানা হাজতেই ছিল। তুলতে দেয়া হয়নি কোন ছবি। পুলিশের এই রহস্যজনক আচরনে হতবাগ হয়েছে নিউজ ৩৯ এর সাংবাদিক।
দোহার থানার ওসি আলমগীর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আটকরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং দোহারের অনেকগুলো ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা ডাকাতদের ডাকাতির ঘটনা ঘটাতে বিভিন্নভাবে সহযোহিতা করে থাকে।