দোহারের হাসান মতিউর রহমানের গান ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে

99

ডেস্ক রিপোর্টারঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে হাসান মতিউর রহমানের লেখা “যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই” গানটি এ বছর ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করেছে “জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ”।

শিল্প ও সংস্কৃতি নামে পাঠ্য বইয়ে “শুধিতে হইবে ঋণ” অংশে এই গানটি যুক্ত করা হয়েছে।হাসান মতিউর রহমান ১৯৫৮ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পূর্বধোয়াইর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ হাসানউদ্দীন, তিনি কলিকাতায় চাকরী করতেন এবং সংগীতের তার বিশেষ অনুরাগ ছিল যা তাকে বিশেষ ভাবে প্রভাবিত করেছে।

ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন গানের গীতিকার নিজেই। হাসান মতিউর রহমান লেখেন, “বছরের প্রথম দিনেই এমন একটি অর্জনের সংবাদ সত্যিই বিশাল। দেখে ভালো লাগল। চোখ পানিতে ভিজে গেল। আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা। সেদিন সন্ধ্যায় হাফিজ বাউলার স্টুডিওতে এসে বইটি দিয়ে গেল গীতিকবি নীহার আহমেদ। মিষ্টি মুখ করাল আমাদের। সবাই সুন্দর থাকুন।”

১৯৯০ সালের দিকে সৃষ্ট গানটির সুর করেন মলয় কুমার গাঙ্গুলী।  গানটি প্রথম গেয়েছিলেনও তিনিই।

অন্য খবর  বিজয়ের মাসে পদ্মা সরকারি কলেজে কম্বল বিতরণ

হাসান মতিউর রহমান সংবাদমাধ্যম সমকালকে বলেন, “১৯৯০ সালে ফ্রান্সে আওয়ামী লীগের একটা সম্মেলন হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্মেলনে যাবেন। মলয় গাঙ্গুলী দাদা তার সফরসঙ্গী। আওয়ামী লীগ থেকে সিদ্ধান্ত হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে দুটি গান করার। লেখার দায়িত্ব আমার ওপর। এই গানটি লিখতে গিয়ে ভোর হয়ে গেল, শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ মনে হলো, যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই! সেটাই গানের প্রথম লাইন করলাম। এরপর লিখে ফেললাম আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার গানটি।”

তিনি বলেন, “বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গানটি এতটাই পছন্দ করেছিলেন যে পরে সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে গাইয়েছিলেন। সাবিনা ইয়াসমিন তার প্রিয় কণ্ঠশিল্পী। এমন একটা অমর সৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

আপনার মতামত দিন