ঈদ উপলক্ষ্যে দোহারে পুড়লো ৬ কোটি টাকার পটকা

401

দোহারবাসি আগে যা দেখে নি; এবার দেখলো তা !! পটকা ও বাজির শব্দে ঈদের আনন্দ উৎসব মুখর হলেও পরবর্তীতে তা রুপ নিয়েছে বিরক্তি ও ক্ষোভের। একটানা বিরিতীহীন (এক সেকেন্ডের জন্যও থামেনি) চলেছে এই পটোকাবাজী। আর দুষ্টুমীর ছলে মানুষের উপর নিক্ষেপ করা এই পটকাবাজিতে আহত হয়েছেন ও কেউ কেউ। আবার কোন কোন স্থানে হাতাহাতি-মারাম্রির ঘটনাও ঘটেছে।

আর এতে ঈদের আগের রাত অর্থাৎ চান রাতের দিন শুধু এক দোহার থানায়-ই পুড়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকার পটকা। চান রাতের দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে ঈদের প্রথম জামায়াত সকাল ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলে এই পটকা বাজি। দোহার পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে একই ভাবে পুড়েছে এই ৬ কোটি টাকার বাজি।

দোহার উপজেলার লটাখোলা গ্রামের কমল হাসান নামক এক ব্যাক্তি নিউজ৩৯ কে বলেন, ভাই- এর কি কোন প্রতিকার নাই। এই মাঝ রাতেও ঘুমাতে পারছি না পটকার শব্দে। মনে হচ্ছে যুদ্ধ আক্রান্ত ফিলিস্তিনের গাজা-তে আছি। হার্টের রোগী থাকলেতো ভাই মারা যাবে। আর এটা কি ধর্মের সৌন্দর্য অমুসলিমদের নিকট নষ্ট করছে না?

অন্য খবর  ধরপাকড়ের মুখে সৌদি আরব থেকে ফিরলেন দোহার উপজেলার আনোয়ার হোসেন

নিউজ৩৯ এর অনুসন্ধানে দেখা যায়, সময় ও টাকার আনুপাতিক গড় হিসাবে চাঁদ রাতের দিন ৬ কোটি টাকারও উপরে অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত থেকে আট কোটি টাকার পটকা ফুটেছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার সাদাপুর গ্রামের এক পটকা বিক্রেতা জানান, তিনি শুধু ঈদের আগের ৩ দিনেই প্রায় ৩০ লাখ টাকার পটকা বিক্রি করেছেন।

দোহারে প্রায় ২০০ টি হট স্পটে হরদম পটকা বিক্রি হয়েছে। সরকারের থেকে নিষেধ থাকলেও প্রশাসন ছিল একেবারেই নিশ্চুপ-নির্বিকার। জনসাধারণের মনে বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, যখন ফিলিস্তিনের গাঁজা যুদ্ধাক্রান্ত, যখন একে একে পদ্মার ভানগনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দোহার উপজেলা; তা নিশ্চিতভাবে বাড়াবাড়ী ও অর্থের ব্যাপক অপচয়। শুধু এই কয়টা টাকা দিয়েই হয়তো বা হাসি ফুটানো যেত নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব মানুষের। অভিভাবকদের নৈতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির সাথে সাথে সচেতন হওয়ার ও পরামর্শ দিয়েছেন সবাই। 

আপনার মতামত দিন