নিউজ৩৯.নেট অনিয়মের আখরায় পরিণত হয়েছে নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ। এখানে অনিয়মই নিয়ম আর নিয়মই অনিয়ম। ৯ মাস ধরে ইউনিয়নের মেম্বারদের নিয়ে মাসিক কোন বৈঠক করেন না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাড়িয়ে গেছেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নান ও ৮ ইউপি মেম্বার। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় দাড় করিয়েছেন তারা। ফলে স্থবির হয়ে গেছে এই ইউনিয়নের স্বাভাবিক কার্যক্রম।
জানা যায় ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ নিয়ে চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নানের সাথে মেম্বারদের দ্বন্দ্ব থেকেই এই এই অচল অবস্থার সৃষ্টি। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাজে চেয়ারম্যান শামিম আহমেদ হান্নানের একক কর্তৃত্ব ও কোন ইউপি মেম্বারদের সাথে পরামর্শ না করে নিজের ইচ্ছা মতো কাজ করার ফলে এই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর পর কাবিখা, টাবিখার বিভিন্ন কাজে চেয়ারম্যানের দুর্নীতির কথা বলার কারনে ইউনিয়ন পরিষদের মিটিং স্থগিত করেন। তারপর থেকে আর কোন মিটিং হয় নি নয়াবাড়ি ইউনিয়নে।
নয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শামছু আহমেদ নিউজ৩৯-কে বলেন, “আমরা মেম্বাররা চেয়ারম্যানের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় এই ব্যবস্থা নিয়েছেন চেয়ারম্যান। কাবিখা, টাবিখার বিপুল পরিমান কাজ নয়াবাড়িতে আসলেও সেই কাজ কিছু না করিয়েই তার টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান নিজে। আর এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করার কারনে তিনি যা তা বলে গালাগালি করেন মেম্বারদের এবং তিনি নীতিবিরুদ্ধ ভাবে বিভিন্ন কাজে হস্তক্ষেপ করেন। এই কারনে আমরা মাননীয় টিএনও ও জেলা প্রশাসককে এই ব্যাপারে লিখিত ভাবে জানিয়েছি এবং তিনি যথাযথ ভাবে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।“