ডিমওয়ালা মাছ শিকার: এভাই হারিয়ে যাবে পদ্মার ইলিশ?

275

নিউজ৩৯.নেট  সবার অলক্ষ্যে দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নে ধরা হচ্ছে মনকে মন ইলিশ। সরকারি নিষেধ অমান্য করে প্রতিদিন ধরা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ মন ডিম অলা ইলিশ। নয়াবাড়ি ইউনিয়নের স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের ইন্ধনে চাদপুরের জেলেদের দাদন দিয়ে ধরানো হচ্ছে এই ডিম অলা ইলিশ। সবার অলক্ষেই হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে এই জাতীয় সম্পদ।

এই সময় নদীতে ডিম ছাড়ার উদ্দেশ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ নদীতে প্রবেশ করে। ইলিশ মাছের প্রজনন সময় হওয়ার কারনে সরকার এই সময় ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রয় সম্পূর্ণ রুপে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রভাবশালিদের ছত্রছায়ায় ধরা হচ্ছে মনকে মন ডিম ওলা ইলিশ। পাচার হয়ে যাচ্ছে এই ইলিশ রাতের অন্ধকারে। 

নয়াবাড়ির স্থানীয় সুবল হাওলাদার,  ধুলসুরার মহি খান গ্রুপের প্রত্যক্ষ  ইন্ধোনে ধরা হচ্ছে ইলিশ। চাঁদপুরের জেলেদের দাঁদন দিয়ে ইলিশ ধরতে বাধ্য করছে এই গ্রুপটি। জানা যায়, তাদের সাথে জড়িত আছে নয়াবাড়ি ইউনিয়নের এক ইউপি মেম্বার।

তারপর নিজেরা পাইকারি ২৩০ টাকা দরে ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের মোকামে। সেখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ মন ডিম অলা ইলিশ ধরেছে।

অন্য খবর  আশফাকের মিছিলে হামলা

এছাড়া স্থানীয় ছোট জেলেরাও মাছ ধরার এই সুযোগ ছারছে না। প্রতিদিন তারা ধরছে দুই থেকে তিন মন ডিম অলা ইলিশ।

সুবল হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি নিউজ৩৯-এর সাথে কথা বলতে রাজি হন নি। এবং মুহি খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ছেলেরা কেউ নিউজ৩৯-এর সাথে কথা বলতে রাজি হন নি।

দোহার থানার সাথে কথা হলে অফিসার ইন চার্জ নিউজ৩৯-কে জানান, তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন এবং সেই সাথে তারা পদ্মায়  যেন ইলিশ শিকার পুরোপুরি বন্ধ হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

আপনার মতামত দিন