কাবুল থেকে তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার চায় ট্রাম্প; ন্যাটোর দ্বিমত

242
কাবুল থেকে তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার চায় ট্রাম্প; ন্যাটোর দ্বিমত

আফগানিস্তান থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার নিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে দ্বিমত ন্যাটো। ট্রাম্প ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন।

আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা আগেই করে রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি চেয়েছিলেন, অর্ধেক মার্কিন সেনা বড়দিনের মধ্যে অ্যামেরিকায় ফিরে আসুক। মার্কিন মিডিয়ার রিপোর্ট, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেনা যাতে ফিরে আসতে পারে ট্রাম্প এ বার সেই নির্দেশ দিতে চলেছেন। আফগানিস্তানে এখন সাড়ে চার হাজারের মতো মার্কিন সেনা আছে। ইরাকে আছে তিন হাজার। দুই জায়গাতেই সেনার সংখ্যা অর্ধেক করা হতে পারে।

কিন্তু অ্যামেরিকা যে ভাবে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করছে, তাতে ন্যাটো উদ্বিগ্ন। ন্যাটোর মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার করা উচিত। এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। এই দুই দেশে ন্যাটোর শরিক দেশের সেনাও আছে।

ন্যাটোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ”আফগানিস্তানে ১২ হাজারের মতো সেনা আছে। আমরাও আমাদের সেনা অ্যাডজাস্ট করছি। প্রয়োজনের থেকে এক মুহূর্ত বেশি সেনাসেখানে থাকবে না। আবার এও সত্যি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমরা যে লাভ পেয়েছি, তাও আমরা হারাতে চাই না।”

অন্য খবর  নারীশিক্ষার ব্যাপারে একটু 'ধৈর্য' ধরুন : তালেবান

ন্যাটোর সচিব এখন সদ্যনিযুক্ত মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলছেন। আফগানিস্তানে ন্যাটোর সেনা যাবতীয় সুযোগসুবিধার জন্য পুরোপুরি অ্যামেরিকার উপর নির্ভরশীল। তাই অ্যামেরিকা সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলায় ন্যাটোও বিপাকে পড়েছে। আবার ট্রাম্পের কার্যকাল শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু তিনি বাইডেনকে ক্ষমতা ছাড়তে চাইছেন না। তাই বাইডেন এই ব্যাপারে কী মনে করেন, তা জানা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে আছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, ন্যাটো সচিবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সচিব মিলারের আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানে সহযোগিতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানে বিদেশি যত সেনা আছে, তার অর্ধেক অ্যামেরিকার। দোহাতে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা এগোচ্ছে না। তাই আফগানিস্তানে আবার মাঝে মধ্যেই সহিংসতা দেখা যাচ্ছে।

আপনার মতামত দিন