আব্দুল মান্নানকে শেষ শ্রদ্ধা জানালো বিএনপি

132
আব্দুল মান্নানকে শেষ শ্রদ্ধা জানালো বিএনপি

দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নানের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তার কফিন রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আনা হয়।
সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরাফত আলী সপু, কায়সার কামাল, আবদুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, ইশরাক হোসেন, খন্দকার আবু আশফাক, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকনসহ কয়েক’শ নেতাকর্মী অংশ নেন।

জানাজার পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সিনিয়র নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আব্দুল মান্নানের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার কফিন দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আব্দুল মান্নান সাহেব শুধু দলের ভাইস চেয়ারম্যানই ছিলেন না, তিনি এদেশের একজন প্রতিথযশা মানুষ ছিলেন। তিনি মন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন এবং অত্যন্ত যোগ্য একজন পুরুষ ছিলেন। আমার তার পাশে আসার যতটুকু সুযোগ হয়েছে-এরকম সৎ, এরকম আন্তরিক, এরকম নিষ্ঠাবান, এরকম যোগ্য মানুষকে রাজনীতিতে আমি খুব কম দেখেছি।

অন্য খবর  ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে শিকারিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের হাতে সরকারি কর্মকর্তা প্রহত

তিনি বলেন, আমার এখনো মনে আছে, তিনি যখন বাংলাদেশ বিমানের এমডি ছিলেন, পরবর্তিকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তখন বাংলাদেশ বিমান প্রফিট করেছিলো এবং সেই প্রফিটের টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে বিমানের একটা স্থায়ী অফিস করেছিলেন। সব বকেয়া ঋণ পরিশোধ করেছিলেন। আব্দুল মান্নান ঢাকা জেলার সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যু বিএনপির নেতাকর্মী বিশেষ করে ঢাকা জেলার নেতাকর্মীদের জন্য অনেক কষ্টের।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টায় বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল মান্নান। তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।

নয়াপল্টনে জানাজা শেষে আবদুল মান্নানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ধানমন্ডিতে। যে এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করেছেন। সেই ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে দুপুর ১২টায় তার জানাজা হয়। এরপর তার নিজ এলাকা নবাবগঞ্জের রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ৩টায় জানাজা হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিকেল ৪টায় দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠে চতুর্থ জানাজার পর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্য্টন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন আব্দুল মান্নান। ঢাকা-২ আসনে (নবাবগঞ্জ- দোহার) ১৯৯১ সালে থেকে চার বার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ বিমানের এমডি ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের সিএসপি অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।

আপনার মতামত দিন