ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের
পদ্মা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে চার টায় পদ্মা কলেজের মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলমের সভাপতিত্বে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উওোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী নানা খেলার আয়োজনে মুখরিত হয়েছিলো কলেজ প্রাঙ্গন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সে সময় তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আর্মির হৃৎকম্প উঠিয়েছিলাম আমাদের জয়বাংলা শ্লোগান দিয়েই। আমাদের কাছে কোন অস্ত্র ছিলো না, ছিলো একটি শ্লোগান “জয় বাংলা”। জয় বাংলা শ্লোগান শুনলেই দালাল যারা ভয়ে পালাতো। আমরা সেই স্লোগানটি জাতীয় শ্লোগানে পরিণত করেছি। পার্লামেন্টের এই এলাকার সংসদ সদস্য আমাদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব সালমান এফ রহমান এই শ্লোগান কে রাষ্ট্রীয় শ্লোগানে পরিণত করেছেন, তাকে ধন্যবাদ জানাই। সালমান এফ রহমান ভাই এই কলেজের জন্য তিনি অনেক অনুদান দিয়েছেন। অনেক সহযোগিতা করেছেন। পার্লামেন্টে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারিভাবে জয় বাংলা স্লোগান মুক্তিযুদ্ধে সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2024/06/rashed-chokder-adha24-min.jpg)
তিনি বলেন, আলোকিত করার জন্য পদ্মা সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা আমরা করেছিলাম। আজ এই এলাকা আলোকিত হয়েছে। এই সকল দাতা, প্রতিষ্ঠাতা, কলেজের শিক্ষক আর সর্বোপরি আমার সম্মুখে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা সবাইকে শুভেচ্ছা।
দোহার এমনই এক এলাকা যেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি হতে চাইতেন না। দোহারে তেমন কোন নাগরিক সুবিধা ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না, কিছুই ছিল না। আজকে আমাদের এই ছোট ছোট সোনামণিদের কাছে এটা স্বপ্নের কথা মনে হবে যে আমরা কি প্রতিকূল পরিবেশে একটা কলেজ করতে চেয়েছিলাম। অথচ এই দোহারেই জন্মেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। এখানেই জন্মেছিলে ভারতের পশ্চিম বংগের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সাহা। এই কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটা স্বপ্নের উপরে। আমরা সে স্বপ্ন বাস্তাবায়ন করে দোহার ও এর আশেপাশ আলোকিত করেছিলাম। আজ এই জনপদ উন্নত হয়েছে। দোহারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে আমাদের সন্তানেরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। তাই, নারীদেরকে এগিয়ে যেতে দেখছি। আজ এখানেও ছাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেশি। আজ বীরদর্পে চলছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা।
বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো।আর তখনই এই অশুভ শক্তি, পাকিস্থানী প্রেতাত্মারা তাকে হত্যা করে, উন্নয়ন প্রক্রিয়ার গতি রোধ করতে চেষ্টা করেছিলো। আজ ঘরে বসে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমাদের সন্তানেরা পড়াশোনা করছে। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে অপব্যবহার সম্পর্কে। নতুন প্রজন্মের ছেলেদের মেয়েদের দেখলেই আমি কথা বলেছি। এই দেশকে তাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। তখন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চিন্তে মৃত্যুবরণ করতে পারব যে আমাদের আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের দেশটাকে সমুন্নত রাখতে পারবেন। আমরা এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা মরতে পারবো। এই নতুন প্রজন্মই আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের জন্য ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেছিলেন। সেই রক্তের কে হিন্দু-কে মুসলমান খ্রিস্টান তা আমরা জানি না। আমরা জানি রক্তরঞ্জিত বাংলাদেশে আমরা সবাই এক জাতি।
গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মা কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেলারেল (অবঃ) অধ্যাপক ডাঃ এ আর খান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্য বলেন,শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খেলাধুলার পাশাপাশি লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়াতে হবে। পদ্মা কলেজকে ভালো মানুষ গড়ার ও সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মানের কারিগর হতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মারুফ হোসেন সরদার বিপিএম, পিপিএম পুলিশ সুপার, ঢাকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফসারুজ্জামান খান সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ অন্যতম দাতা, পদ্মা সরকারি কলেজ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাইদুর রহমান (খোকা)বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী,
আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম আখন্দ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মোন্নাফ বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রউফ, মোঃ আলমগীর হোসেন চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দোহার, এ্যাড. এ.কে.এম আজিজুর রহমান (বাবুল) প্রতিষ্ঠাতা সহ-সাধারণ সম্পাদক, পদ্মা সরকারি কলেজ,অধ্যাপক এম.এ হান্নান খান চেয়ারম্যান, মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যতম দাতা, পদ্মা সরকারি কলেজ,এম.এ.রহিম অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, পদ্মা সরকারি কলেজ,উদ্ভোদক হিসেবে উপস্থিত ছিল, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সাধারন-সম্পাদক ও সাবেক ভূমি নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ড.খান মো.আব্দুল মান্নান,পদ্মা কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকববৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা।
![](https://news39.net/wp-content/uploads/2023/08/protiva-coaching-ad-primary-teacher-2023-min.jpg)