গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুরে রস

393

আসাদ সবুজ/নিউজ৩৯.নেট
ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ । বছরে একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে এদেশ । কালের পরিক্রমায় প্রতি বছরই হাজির হয় শীতকাল । বছরে এসময় বিভিন্ন রকমের প্রকৃতির উপাদান নিয়ে হাজির হয় এই ঋতু । কিন্তু কালের পরিক্রমায় হারাতে বসেছে গ্রামবাংলার চিরচেনা অনেক রূপ । তাঁর মধ্যে অন্যতম সকালে খেজুর গাছের রস ।
এক সময়ে শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামগঞ্জের মানুষরা ছিলানো (গাছ কাটা) নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। কে কার আগে খেজুর গাছ কেটে প্রকৃতির সেরা উপহার সমূহের মধ্যে অন্যতম খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারে এ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়তেন। খেজুর রসে তৈরী নানা প্রকার পিঠা পায়েস ছিল গ্রামবাংলার মানুষের নবান্নের সেরা উপহার। খেজুর রস দিয়ে অল্প সময়ে তৈরী করা হতো পাটালীগুড়,ভীড়মিঠাই সহ নানা রকমের মজার মজার খাবার সামগ্রী। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর রস। খেজুর গাছ কাটার সাথে নিয়োজিতদের  আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় গাছি। কমাগত নদীভাঙ্গন আর ফসলী জমি কেটে বসতবাড়ি নির্মানের ফলে দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ ।ফলে দিনে দিনে খেজুর রস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামগঞ্জের মানুষরা। কয়েক বছর আগেও শীত মৌসুমে খেজুর রসের তৈরী নানা প্রকার পিঠা পায়েসসহ সুস্বাধু নবান্নের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে উৎসাহ ও আনন্দের মধ্যে নবান্নকে বরণ করত এ অঞ্চলের মানুষরা।এখন আর খেজুর রস না পাওয়ায় নবান্নের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। গ্রামের  মানুষেরা শীত মৌসুমে অতিথিদের রসের তৈরী পায়েস দিয়ে আপ্যায়ন করানোর প্রচলন এখন ভুলতে বসেছে।

আপনার মতামত দিন