জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো’র জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে আটক ও হেনস্থার প্রতিবাদে ও দূর্নীতিবাজ এবং দোষীদের বিচারের দাবীতে মাননবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দোহার উপজেলা প্রেসক্লাব। বুধবার বিকাল ৪ঃ১৫টায় দোহার উপজেলার রতন স্বাধীনতা ভাস্কর্য এর সামনে দোহার প্রেসক্লাবের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন দোহার প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক তারেক রাজিব, দোহারে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান, ৭১’টিভির দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, সাপ্তাহিক জাগ্রত জনতার সাব-এডিটর আলমগীর হোসেন, দৈনিক আগামীর সময়ের হাশেম ফকির, বিজয় টিভি’র আতাউল রহমান সানি, দৈনিক যায়যায়দিনের শেখ সোহেল রানা, এশিয়ান টিভির দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি আবু নাঈম দোহারী, চ্যানেল এস দোহার প্রতিনিধি কাজী জুবায়ের, সুজন আহমেদ নববাংলা, শরীফ হাসান আজকের প্রতিকা দোহার উপজেলা প্রতিনিধি, সাইফুল ইসলাম আগামীর সময় দোহার উপজেলা প্রতিনিধি, তৌহিদুল ইসলাম নিউজ৩৯,
আল আমিন দৈনিক সকালের সময়ের দোহার উপজেলা প্রতিনিধি, মাকসুমুল মুকিম আমার সময় দোহার উপজেলা প্রতিনিধি।
দোহার প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক তারেক রাজিব বলেন, রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টা সচিবালয়ে আটকিয়ে রেখেছে নির্যাতন করার পর, তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এটা আমাদের সংবিধান বিরুদ্ধী এবং সংবিধানের ৩৯ ধারায় স্বাধীন গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। আমাদের সেই অধিকার ফিরে চাই এবং রোজিনা ইসলামকে যে অফিসিয়াল সিকুয়েন্সসি আইনে ধরা হয়েছে, এটা ছিল বৃটিশ শাসনামলে স্বাধীনতাকামীদের নিস্পেষণ করার আইন। আমরা এই আইন বাতিলের দাবি জানাই। রোজিনাকে যে মামলা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো জামিনের যোগ্য ছিল, তা না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর হয়। সে জন্য আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
বক্তরা বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন দূর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্থা করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। দ্রুত রোজিনা ইসলামকে মুক্তি না দিলে, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্দেশনা মোতাবেক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান তারা।