ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর গ্রামে ভূমিহীন তারা হালদারের পরিবারকে বঞ্চিত করে অর্পিত সম্পত্তিতে এলাকার বিত্তশালী আনন্দ হালদার অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদ করায় তারা হালদারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোট গোবিন্দপুর গ্রাম ও মৌজাস্থিত এসএ ৯৪৮, আরএস ১১৪৭ দাগের ৩৩ শতাংশ ভিপি বা অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। যা স্থানীয়দের সমঝোতায় তিন পরিবারের মাঝে বণ্টন করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি আনন্দ হালদার দরিদ্র তারা হালদারের জমির কিছু অংশ দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন নেননি।
আনন্দ হালদারের স্ত্রী সীমা হালদার জানান, তারা যে জমিতে ভবন নির্মাণ করছেন, সেটি তার স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তি। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের কাছ থেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
তারা হালদার অভিযোগ করেন, তিনি দরিদ্র মানুষ। হাট-বাজারে মুড়ি বিক্রি করে কোনো রকমে দিন যাপন করেন। সম্প্রতি স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, এলাকাবাসী উপস্থিত থেকে স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করে ওই জমিতে তাকে থাকতে দেন। কিন্তু কিছুদিন পর পাশর্^বর্তী আনন্দ হালদার সেই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সেখানে বহুতল ভবণ নির্মাণ করছেন। বাধা দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তারা বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, দাঁড়াবার জায়গা টুকু নেই। ছেলে সন্তান নিয়ে কোথায় যাব?’
যন্ত্রাইল ইউপি চেয়ারম্যান নন্দ লাল সিং বলেন, আমি উপস্থিত থেকে সম্পত্তি বণ্টন করে দিয়েছি। আনন্দ হালদার আমাদের অমান্য করেছেন। আইনের তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবণ নির্মাণ করছেন।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ জানান, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।