নবাবগঞ্জে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবেদের মনোনয়নপত্র বাতিল

374

নিউজ৩৯ ♦ তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবেদ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে তিনি উপজেলার আগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আবেদ হোসেন চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষের দিনে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস যাচাই-বাছাইকালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল না করা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবেদ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে। কারণ আবেদ হোসেন নিজেকে এইচএসসি পাস দাবি করলেও কোনো সার্টিফিকেট দাখিল করেননি। সার্টিফিকেটের পরিবর্তে তিনি গালিমপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছেন। স্কুলের প্রত্যয়নপত্রে তার নাম লেখা হয়েছে মো. ওমর ফারুক (আবেদ হোসেন) এবং কলেজের প্রত্যয়নপত্রে লেখা এসএম ওমর ফারুক। কলেজের প্রত্যয়নপত্রে তার রোল নম্বর লেখা হয়েছে ১৫১৭৯। কিন্তু ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়েরকৃত এক সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) রোল নম্বর উল্লেখ করেছেন ১৫৩৩২। জিডিতে তিনি দাবি করেছেন, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাসায় আগুন লেগে তার সার্টিফিকেট পুড়ে গেছে। বাসায় আগুন লাগার প্রায় দুই বছর পর জিডি করার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন নবাবগঞ্জের বাসিন্দারা। জানা গেছে, উপজেলার মহনপুর গ্রামের ৮৭ নম্বর সিরিয়ালে ভোটার নম্বর ২৬০১৬১৩০৭০৩৯-তে তার নাম আবেদ হোসেন। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি আবেদ হোসেন নামেই সব কার্যাদি পরিচালনা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, আবেদ হোসেন বরাবরই আবেদ হোসেন নামে পরিচিত। তার নাম কখনও ওমর ফারুক ছিল এটা কারও জানা নেই। কিভাবে তিনি ওমর ফারুক নামে স্কুল-কলেজের প্রত্যয়নপত্র জোগালেন সেটা রহস্যজনক।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে ৩ বাড়িতে অগি্নকাণ্ডে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৫ জানুয়ারি। এদিন তিনি তার নাম এফিডেভিট করেছেন। এতে তিনি দাবি করেন তার প্রকৃত নাম আবেদ হোসেন। ভুলক্রমে তার শিক্ষাগত সার্টিফিকেটে মো. ওমর ফারুক নাম উদ্ধৃত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, আবেদ হোসেনের দাবি অনুযায়ী তিনি এসএসসি পাস করেছেন ১৯৭০ সালে। এরপর একই নামে এইচএসসিও পাস করেন। তখন তো নামের সংশোধন করেননি। তাই ৪৫ বছর পর নামের সংশোধন নিয়ে এলাকায়ও প্রশ্ন উঠেছে।

আপনার মতামত দিন