দোহার নবাবগঞ্জে আশংকাজনক হারে বাড়ছে মটর সাইকেল চুরির ঘটনা। প্রতিদিনই এই দুই উপজেলার কোথাও না কোথাও চুরি হচ্ছে মোটরসাইকেল। মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চোরের দলকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে মোটর সাইকেল। অনেক ক্ষেত্রে টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না মোটর সাইকেল।
প্রবাসী অধ্যুষিত এই দুই উপজেলায় মোট কতটি মোটর সাইকেল চলে তার প্রকৃত হিসাব নেই পুলিশের কাছে। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় বিদেশ থেকে ফিরে প্রথমেই মোটর সাইকেল কিনে প্রবাসীরা। স্থানীয় ভাবে চালানোর জন্য কেনার ফলে এই সব মোটর সাইকেল গুলোর রেজিস্ট্রেশনও করা হয় না। ফলে মটর সাইকেল চোরের জন্য লোভনীয় হয়ে থাকে এই সব মটর সাইকেল। রেজিস্ট্রেশন করা থাকে না বিধায় চুরির পর অভিযোগ জানাতে থানাতেও যেতে পারছে না ভুক্তভোগীরা।
কয়েক দিন আগে দিনে দুপুরে নবাবগঞ্জ বাজারের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের বুথের সামনে থেকে মটর সাইকেল নিয়ে যায়। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই মটর সাইকেল নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। ডাচ-বাংলা এটিএম বুথের দারোয়ান নিউজ ৩৯-কে বলেন, নবাবগঞ্জ বাজারে মটর সাইকেল চুরির ঘটনা এখন নিয়মিত হয়ে উঠেছে। দিনকে দিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে তার পরও এর কোন উন্নতি নেই।
নবাবগঞ্জ পুরিশের ডিউটি অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান নিউজ ৩৯ কে মটর সাইকেল চুরির ব্যাপারে বলেন, “র্দীঘ দিন ধরেই এই এলাকাতে মটর সাইকেল চোরের একটা সংঘবদ্ধ দল কাজ করছে। আমরা মাঝে মাঝে এদের বিরুদ্ধ অভিযান চালাই। কিন্তু তারা ঠিকই আইনের ফাক ফোকর দিয়ে বের হয়ে আসে। আমরা এদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
প্রবাসী অধ্যুষিত এই অঞ্চলে এই মটর সাইকেল চুরির হার কমাতে না পারলে পরবর্তীতে সরকার একটি বিরাট অংশের রাজস্ব হারাবে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট জনেরা।