প্রিয় বাংলায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

737

গত ১৩ এপ্রিল দোহার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক প্রিয় বাংলায় প্রকাশিত “ইব্রাহীম খলিলকে আ’লীগের প্রার্থী করায় তৃণমূলে ক্ষোভ” ও একই পত্রিকার ২৪ এপ্রিল “ভুল প্রার্থীতে ডুববে নৌকা” শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক, কলাকোপা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মো. ইব্রাহীম খলিল।

প্রতিবাদ লিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, “বিগত কমিটিতে ১৩ বছর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। দলের সভা-সমাবেশ, সম্মেলন, গুরুত্বপূর্ণ পদযাত্রা, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন দলের ক্রান্তিকালেও আমার অনুপস্থিতি ছিলাম বলে আমার মনে পড়ে না। উপজেলা সদরে আমার বসবাস হওয়ায় দলের বড়ো ধরণের চাপও আমাকে সয্য করতে হয়েছে।

এরপরও দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি। সংবাদ সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ের সাথে জড়িত থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষের নানান অসংগতি চোখে পড়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াই। তাদের দুঃখ দুঃদশায় ন্যায় বিচার পেতে সহায়তা করি। তাছাড়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, সামাজিক প্রতিষ্ঠানে এলাকাবাসী আমাকে জড়িয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ইতিমধ্যে শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার মানবৃদ্ধিতে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগীতায় এলাকাবাসী আমাকে সর্বাত্মক ভাবে পাশে পেয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু সম্প্রতি ইউপি নির্বাচন নিয়ে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ’’

অন্য খবর  ৩৯ বছর পর দায়িত্ব ছাড়লেন কলাকোপার তৈয়ব চেয়ারম্যান

প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে ইব্রাহীম খলিল উল্লেখ করেন,”আমাকে জড়িয়ে যে সব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, জঘণ্য প্রকৃতির লোক না হলে এভাবে কোন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে লেখা সম্ভব হয়নি। সংবাদে এটিই সুস্পষ্ট হয়েছে যে, সংবাদটি কোন ব্যাক্তির স্বার্থ হাসিল করতে অর্থের বিনিময় করা হয়েছে। যা সুস্পষ্ট হলুদ সাংবাদিকতার সামিল। এতে বুঝা যাচ্ছে কিছু জঘণ্য রুচির লোকের স্বার্থ হাসিলে পত্রিকা সংশ্লিষ্ঠ কর্মীরা উঠে পড়ে লেগেছে। সংবাদে, আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করতে সাংবাদিক তার অপসাংবাদিকতার ভাষা ব্যবহার করেছে।

ঘটনার বিবরণ, “কলাকোপা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রার্থী বাছাই হয় হরেকৃষ্ণ কুসুম কলি উচ্চ বিদ্যালয়ে। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দলের আরো ২ প্রার্থী উপস্থিত ছিলো। দলের কেন্দ্রের নির্দেশে বাছাই প্রক্রিয়া হয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে। নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে অপর এক প্রার্থী নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করে সভা বয়কট করে। সভা স্থল থেকে কিছু বহিরাগত বখাটে পার্টির নিবন্ধনী খাতা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে প্রার্থী প্রক্রিয়া অনুযায়ী তৃণমূলের সর্ব সম্মতিক্রমে আমাকে প্রার্থী মনোনিত করে কেন্দ্রে নাম পাঠায়। এ প্রক্রিয়ায় কোন অসংগতি ছিল কিনা উপস্থিত নেতাকর্মীরাই তা ভালো বলতে পারবে।

অন্য খবর  খালেদা জিয়ার জনসভায় খন্দকার আবু আশফাক

তিনি সংবাদ সম্পর্কে বলেন, “আমার সাথে যদি কারো অর্থনৈতিক লেনদেন থাকে সেটা আমার এবং পাওনাদারের বিষয়। সেটাতো সংবাদের তথ্য হতে পারে না। সংবাদে তথ্য উপাত্তে রং লাগিয়ে লবন-পানি মিশিয়ে মানুষের হাততালি কুড়িয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনকে বিচলিত করতে পারবেন না। কলাকোপাবাসী আমাকে চেনে এবং জানে। তাদের ভালোবাসা নিয়ে আমি এগিয়ে যেতে চাই।পরিশেষে আমি প্রকাশিত সংবাদ গুলোর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

আলহাজ্ব মো. ইব্রাহীম খলিল

আপনার মতামত দিন