পৌরসভা এলাকায় প্রবেশ করলেই দিতে হবে দশ টাকা

335
পৌরসভা এলাকায় প্রবেশ করলেই দিতে হবে দশ টাকা

ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভায় পৌর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে আওয়ামী মোটর চালক লীগের মানববন্ধন ও কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে তারা ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার চাঁদা আদায় এর জন্য
মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালন করেন।

রবিবার সকাল ১০টায় লটাখোলা পালবাড়ি থেকে জয়পাড়া বাজারে মিছিল নিয়ে আসার সময় দোহার থানার পুলিশ মিছিলে বাঁধা দেয়। সে সময় আওয়ামী মোটর চালক লীগের লোকজন পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি দোহার উপজেলা লটাখোলা বাজারে আসলে এস আই ইব্রাহিম তাদেরকে থানায় আসতে বলেন এবং তাদেরকে আশ্বাস দেন তাঁদের বিষয়টি দেখবেন বলে।

সেসময় বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন বলেন, ‘দোহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে চাঁদা তুলছে। তারা চাঁদা তুলতে গিয়ে আমাদের লোকজনের গায়ে হাত তুলছে। আমরা দিন আনি, দিন খাই। আমাদের পেটে লাথি দিচ্ছে তারা। সরকারের জন্য আমরা জীবনবাজি রেখে মিছিল-মিটিং করি। আর এখন আমাদের ওপরই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর এই চাঁদার ভাগ প্রভাবশালী একজন রাজনৈতিক নেতা এবং বাজার কমিটির একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পৌরসভার সঙ্গে যোগসাজশে তুলছেন।’ সব টাকা পৌর ফান্ডে জমা হচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।

অন্য খবর  দোহার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড: নাগরীকদের অভিযোগই বেশি

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী মোটর চালক লীগ দোহার উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপন শিকদার বলেন, ‘আমরা কামাই করে খাই। আমরা কেন তাদের টাকা দেব? প্রয়োজনে একটা বার্ষিক লাইসেন্স ফি নিক আমরা সেটা দিব। তাঁরা প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে প্রতি অটোরিকশা বাবদ ১০ টাকা করে নেয়। এভাবে তারা অন্যায়ভাবে টাকা আদায় করেন আমাদের কাছে থেকে। তারা আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছিল কিন্তু তারা আমাদের না জানিয়ে আবার টাকা তুলতেছে। সে জন্য আমরা আজ এই বিক্ষোভ মিছিল করেছি পুনরায়।

শিপন শিকদার আরও বলেন, আমরা দোহার থানার পুলিশ তদন্ত এসএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন আপনাদের প্রতিদিন একটা অটোরিকশা থেকে ১০ টাকা করে নিবে এটা সরকারি আইন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা উপজেলার লটাখোলা রোডে কোনো অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢুকতে দেননি। যে অটোরিকশা চালকেরা যাত্রী নিয়ে এসেছিলেন, তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ফিরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সে সময় জনসাধারণ ব্যাপক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।

এবিষয়ে দোহার থানার পুলিশ তদন্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান বলেন, তাদেরকে বলা হয়েছে পৌরসভার ভিতরে টুকলেই দশ টাকা করে টোল দিতে হবে গাড়ি প্রতি। আর এই বিষয় নিয়ে তারা গতমাসে লিখিত অভিযোগ করলে। তাদের গাড়ি প্রতি বিশ টাকার জায়গায় দশ টাকা করা হয়। এটি সরকারি আইন তাই তাদেরকে মানতে হবে।

আপনার মতামত দিন