সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় ইলিশ শিকার

352

নিউজ৩৯♦ ঢাকার দোহার উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদী থেকে অবাধে মা ইলিশ ধরে উপজেলার বাজার গুলোতে অবাধে বিকি-কিনি হচ্ছে । প্রশাসনের নাকের ডগায় এ সব মাছ অবাধে বিক্রয় হলেও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মেঘুলা, নারিশা, জয়পাড়া, মুকসুদপুর, পল্লী বাজার, মৌড়া, গোড়াবন, ফুলতলা, কার্তিকপুর, মৈনট ঘাট, বাংলা বাজার, বাহ্রা, ধোয়াইর, লটাখোলা নতুন বাজার, পালামগঞ্জ, বৌ বাজার, সুতারপাড়া হলের বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে পদ্মার ইলিশ মাছ বিক্রি হতে দেখা যায়।

হলেরবাজারে দেখা যায় সকলের সামনে প্রকাশ্য বিক্রয় করা হচ্ছে পদ্মা থেকে আনা অনেক ইলিশ। নারিশা ঘাটে দেখা যায় প্রচুর ইলিশ বিক্রি করতে। অনেকে আবার ইলিশ মাছ শিকার করে বাজারে না এনে পরিচিত মানুষের বাড়ীতে বিক্রয় করে থাকে ।

১৩  অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর এ  ১০ দিনের জন্য ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন এবং বিপণন বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। ইলিশের ভরা প্রজনন ও নির্বিঘেœ ডিম ছাড়ার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। অথচ সরকারের এ নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে দেদারছে মাছ ধরে অবাধে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি হওয়ায় সরকারে এ মহত উদ্যোগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারিশা ঘাট আড়তের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, মৎস কর্মকর্তাকে ব্যবসায়ীরা সবাই চিনে। তারা অভিযানে আসলে আমরা মাছ লুকিয়ে রাখি। চলে গেলে আবার বিকি-কিনি শুরু হয়।

অন্য খবর  জঙ্গিবাদ আদর্শিক নয়, সন্ত্রাসীদের মতবাদ - অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম

ঝনকি গ্রামের মন্জুর খান জানান, গত শুক্রবার ও উপজেলার হলের বাজারে ডিম ওয়ালা অনেক   ইলিশ মাছ বিক্রি হতে দেখেছেন।
উপজেলা ক্ষেত্র সহকারী আবু ইদ্রিস আহম্মেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে মাছ ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে বলেন।

উপজেলা সহকারী মৎস কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, নিয়মিত অভিযান চলছে। কোথাও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আকলিমা আকলিমা আকতার জানান, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাছ বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

আপনার মতামত দিন