ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষ হয়েছে। দোহার পৌর মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬২ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হয়।
দলীয় নমিনেশন পাওয়ার বিষয় দোহার উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনকে কয়েকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দলীয় নমিনেশনের বিষয় দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মেছের বলেন, আমরা কোন মেয়র বা কাউন্সিল প্রার্থী দিচ্ছি না। কারণ এই সরকার সুষ্ঠু ভোটের নির্বাচনে বিশ্বাসী নয় আর এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। দলীয় এই সিদ্ধান্ত যে বা যারা না মানবে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি নমিনেশন কিনেও থাকে, তাহলে তাকে আমরা বলবো নমিনেশন প্রত্যাহার করতে। যদি সে নমিনেশন প্রত্যাহার না করে এবং দলের কোন পদে থাকে, তবে সেই পদ থেকে তাকে এবং একইসাথে দলীয় সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
৩০ জুন, ২০২২ | ২০২২ প্রার্থিতা বাছাই |
৭ জুলাই, ২০২২ | মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন |
৮ জুলাই, ২০২২ | প্রতীক বরাদ্দ |
২৭ জুলাই, ২০২২ | ভোট গ্রহণ |
আগামী ২৭ জুলাই সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দোহার পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দোহার পৌর মেয়র পদে যে ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা হলেন:
- বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি
- বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি
- মো. নুরুল ইসলাম বেপারী
- জামাল উদ্দিন আহম্মেদ, ঢাকা জেলা দক্ষিণ তাঁতীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি
- আনোয়ার সফি চৌধুরী
- আব্দুর রহমান আকন্দ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক
- মো.আলমাছ উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক
- আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন
- সফিকুল ইসলাম সেন্টু ওরফে পীর সেন্টু, পৌরসভা আওয়ামীলীগ নেতা
আপডেট: সফিকুল ইসলাম সেন্টু’র মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাই প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট এ।
নির্বাচন কমিশনারের অফিসের তথ্য মতে দোহার উপজেলার জয়পাড়া, রাইপাড়া, সুতারপাড়া ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের আংশিক অংশ নিয়ে ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সীমানা জটিলতা ও ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা হওয়ায় বিগত ২২ বছর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে দোহার পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে জনগণের ও প্রার্থীদের মাঝে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। কে হবেন মেয়র ও কে হবেন কাউন্সিলর এ নিয়ে শুরু হয়েছে পৌর নাগরিকদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে আলোচনার ঝড়। দোহারের পৌর নাগরিকগণ দীর্ঘ ২২ বছর পর ইভিএমে এই প্রথম ভোট প্রদান করবেন।