সন্দেহ – অবিশ্বাস, ভালোবাসা থেকে তীব্র অভিমান; পরিণতিতে আত্মহত্যা। ঢাকার দোহারে বিদেশ থেকে ছুটিতে দেশে আসা স্বামীর উপর অভিমান করে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। নিজের গলায় রশি পেচিয়ে বাবার বাড়িতে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বর্ণা। নিহতের নাম বর্ণা আক্তার(২০), সে দোহার উপজেলার বটিয়া গ্রামের মোহাম্মদ কুদ্দুসের মেয়ে। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ মিঠু । মিঠুর বাড়ী দোহারের কুসুমহাটি ইউনিয়নের সুন্দরী পাড়া এলাকার। মিঠুর পিতার নাম আব্দুর রাজ্জাক মৃধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত্রে ঘটনার কিছুক্ষণ পূর্বে বর্ণা আক্তার তার স্বামী মিঠু মৃধার মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে বর্ণা আক্তার মিঠুকে অজানা কারণে তাৎক্ষণিক বটিয়ায় তার বাবার বাড়িতে আসতে বলে। মিঠু ওই মুহুর্তে আসতে অপরাগতা প্রকাশ করলে বর্ণা তাকে দেখ নিব বলে হুমকি দেয়। এরপর সে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে নাইলনের রশি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কিছুক্ষন পর বর্ণা মা ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করতে থাকে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না দেওয়ায়, স্বজনেরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকতেই ফ্যানের সাথে বর্ণার ঝুলন্ত নিথর দেহ দেখে চিৎকার দেয়। পরে স্বজনদের সহযোগীতায় দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসে এবং বর্ণার স্বামী মিঠুকে আটক করে প্রাথমিকভাবে জিঙ্গাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আপনার মতামত দিন