দোহারে সহিংসতার জড়িতদের আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের দাবি

341

ঢাকার দোহার উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময়ে নেতারা  হত্যার সাথে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার আওয়ামীলীগের এক বর্ধিত সভা ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের সভাপত্বিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের হাজারবিঘা গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের পর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ বর্ধিত সভার করে।

বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী আহসান খোকন শিকদার বিলাসপুরের হাজারবিঘা গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের তীব্র নিন্দাজ্ঞাপন করে বলেন, এ হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তারা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে না। তাদের অবিলম্বে দল থেকে বস্থিকার করতে হবে। এ হত্যাকান্ডের দায় উপজেলা আওয়ামীলীগ নিতে পারে না।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, অত্যাচারি, জুলুমবাজ, হায়ানাদের জনগণ ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করে দোহার থেকে তাদেরকে বিতারিত করেছে। এ কারণে দোহারবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ বিজয়ের আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করেছে।

অন্য খবর  মুকসুদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বলেন, দুর্ণীতিবাজ ও স্বজনপ্রীতির নায়ক আ. মান্নান খানকে বিগত ৫ বছরের কর্মকান্ডের জন্য ভোটের মাধ্যমে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি ডাকাত ফ্যামেলী উপজেলা আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিলো। কেউ তাদের সামনে সত্য কথাটি বলতে সাহস করতো না।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদের একটি কথার উদ্ধৃতি টেনে বলেন, একটি উল্লুকের কারণে একটি সুন্দর সাজানো ফুলের বাগান তছনছ হয়ে যেতে পারে। ঠিক তেমনি আ. মান্নান খানের ছোট ভাই মোতালেব খানের কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গিয়েছিলো। এখন থেকে আপনারা একত্রিত হয়ে বিগত দিনের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলুন। এ সময়ে উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারী সোমবার দোহার উপজেলার হাজারবিঘা গ্রামে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড. আব্দুল মান্নান খানের নৌকা প্রতীক সমর্থিত হুকুমালী চোকদারের লোকজন জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের লাঙ্গল প্রতীক সমর্থক আলাউদ্দিন মোল্লার লোকজনের ওপর হামলা করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন মোল্লা, মুকসেদ খন্দকার এবং মাসুদ খন্দকারসহ তিন জনকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং আট জনকে গুরুতর আহত করে। পরে মুকসেদ খন্দকারের পুত্র মোতালেব খন্দকার বাদী হয়ে ৫৬ জনের নামে এবং আরো ৮০/৯০ জনকে আসামী করে দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি কিছুটা নষ্ট হয়।

অন্য খবর  দোহারের কৃতি সন্তান ড. কবিরুল বাশার জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিযুক্ত

বর্ধিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক সুরুজ আলম সুরুজ, দোহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি করম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনারকলি পুতুল প্রমুখ।

আপনার মতামত দিন