দোহারে শিক্ষকের উৎসব ভাতা বন্ধ করায় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি

115
দোহারে শিক্ষকের উৎসব ভাতা বন্ধ করায় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শামছ উদ্দিন শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি করেছেন।

৭ আগস্ট সকাল সাড়ে এগারোটায় জয়পাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ২০২৩ সালের ঈদ-উল-আযহার উৎসব ভাতা বন্ধ কেন? বকেয়া প্রবৃদ্ধি ও টাইমস্কেলের পাওনা চাই। দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জবাব চেয়ে মোঃ শামছ উদ্দিন এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, স্কুল ও কলেজ নিবন্ধন করে সর্বসাকুল্যে ৩০০০/- টাকা বেতন এবং প্রদত্ত বেতনের ৫০% উৎসব ভাতা প্রাপ্তির শর্তে জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে আমি ০১/০১/২০০৯ ইং যোগদান করি। ২০১০ সালে ঈদ-উল-আযহার সময় তৎকালিন ইউএনও বাবু রথীন্দ্রনাথ দত্ত বেতনের সম পরিমান উৎসব ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে অনুযায়ী আমিও বাবু সঞ্জিব কুমার বর্মন সহ ৬ জন বেতনের সম পরিমান উৎসব ভাতা পেয়েছি। ২০২০ সালে ঈদুল ফিতরের জন্য ৭৬৪৫/- টাকা উৎসব ভাতা পেয়েছি। ২০২১ সালে উভয় ঈদে ৬১০৬/- টাকা করে উৎসব ভাতা পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান যে ইউএনও মোঃ মোবাশ্বের আলম স্যার আমি তার কাছে আমার ২০২৩ সালের ঈদ-উল-আযহার উৎসব ভাতা, বকেয়া প্রবৃদ্ধি ও টাইমস্কেলের জন্য দাবি জানাই। আমার যে উৎসব ভাতা ছিল তা অর্ধেক করা হয়েছে। আমি তাকে এটিও জানাই। তিনি কোন ব্যবস্থা না নেওয়া আমি আবার আবেদন করি কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তাই এখন আমার দাবি যে ২০২৩ সালের ঈদ-উল-আযহার উৎসব ভাতা, বকেয়া প্রবৃদ্ধি ও টাইমস্কেলের বন্ধ করা হয়েছে সেটা আমাকে দেওয়া হোক।

অন্য খবর  নবনির্বাচিত উপজেলা প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দিলো বিএনপি নাকি বিএনএফ!

দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোবাশ্বের আলম ভারতে ট্রেনিং এ থাকায় কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ, তিনি এর আগে ২০২১ সালের ৭ মার্চ বেতন বন্ধ করা হয়েছে এ দাবিতে দোহার উপজেলায় প্রধান ফটকের সামনে খালি থালা হাতে প্রতিবাদ করেন।

আপনার মতামত দিন