দোহারে বন্যায় বিধ্বস্ত রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেই

এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নে প্রায় সবকয়টি রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তাঘাটগুলো এখন পর্যন্ত সংস্কার না হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগে পড়েছে এলাকার ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন রাস্ত-ঘাট ঘুরে দেখা যায়, যানবাহন ও পায়ে হেঁটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার নারিশা পশ্চিম চরের ধোপাবাড়ি মাঠ, নারিশা বাজার থেকে নদীর পাড়, সুতারপাড়া বাজারের পশ্চিম থেকে সালাম মোহরির বাড়ি, কাজীরচর মোড় থেকে বিলাশপুর, সুতারপাড়া থেকে মোল্লাবাড়িÍ, জয়পাড়া থানার মোড় থেকে বিলাশপুর, বিলাশপুর থেকে মাঝিরচর, মাহমুদপুর থেকে চরবৈতা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়াও দোহার পৌরসভার সড়কগুলো সংস্কার না করা হয়নি।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার অধিকাংশ সড়ক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এসব রাস্তাঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বিভিন্ন সময় সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে। তবুও রাস্তাঘাট সংস্কারে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো উদ্যোগ।

কথা হয় নারিশা গ্রামের আবদুল মান্নান বলেন, নারিশা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী। এরমধ্যে আবার এবার বন্যায় রাস্তটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বিশেষ করে বন্যার পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই রাস্তাটি দিয়ে নারিশাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে অবাধে মাটি বিক্রির মহোৎসব

বিলাশপুর গ্রামের শেখ আবদুল জলিল বলেন, জয়পাড়া থানার মোড় থেকে বিলাসপুর পর্যন্ত এবং বিলাশপুর থেকে মাঝিরচর পর্যন্ত সড়ক দুটিতে এবার বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা এগুলো দেখেও দেখে না। তিনি আরও বলেন অসুস্থ রোগীদের নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে যেতে বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে গর্ববতী মায়েদের অনেক কষ্ট হয়। অথচ এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

বিলাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, এবার বন্যায় আমার এই বিলাশপুর ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন রাস্তা-ঘাটগুলো পরির্দশন করেছে।

এ ব্যাপারে দোহার উপজেলা প্রকৌশলী সুশিল চন্দ্র সরকার বলেন, এবার বন্যায় উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাহিদাও দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। আশা করি দ্রুত বরাদ্দ পাবো এবং এসব সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবো।

আপনার মতামত দিন