দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর চ্যান্সেলর কুর্টসের পদত্যাগ

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর জেবাস্তিয়ান কুর্টস পদত্যাগ করেছেন দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। পদত্যাগের পর তিনি তার স্থলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের নাম প্রস্তাব করেছেন।

70

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর জেবাস্তিয়ান কুর্টস পদত্যাগ করেছেন দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। পদত্যাগের পর তিনি তার স্থলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের নাম প্রস্তাব করেছেন।

একটি ট্যাবলয়েড নিউজপেপারে তার পক্ষে ভালো খবর ছাপানোর বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি অর্থ ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেবাস্তিয়ান কুর্টস। এই অভিযোগের পর তার জোট সরকার ধসে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

জোটের একজন কনিষ্ঠ অংশীদার ‘দ্যা গ্রিনস’ বলেছে কুর্টস চ্যান্সেলর হওয়ার আর যোগ্যতা রাখেন না।

দ্যা গ্রিনস এখন বিরোধী দলের সাথে আলোচনা শুরু করেছে। বিরোধী দল এখন হুমকি দিচ্ছে আগামী সপ্তাহে তারা অনাস্থা ভোট আনবে।

গ্রিন পার্টির নেতা এবং ভাইস চ্যান্সেলর ওয়ারনার কগলার কুর্টসের পদত্যাগের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন, এবং তিনি শ্যালেনবার্গের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের মধ্যে ‘খুব গঠনমূলক’ সম্পর্ক রয়েছে।

কুর্টস যখন তার পদত্যাগ ঘোষণা দেন তখন বলেন, যেটা এখন প্রয়োজন, তা হল স্থিতিশীলতা। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। এতে করে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেছেন, তিনি তার দলের নেতা থাকবেন এবং পার্লামেন্টে বসবেন। তিনি আরো বলেছেন, আমি অবশ্যই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ ব্যবহার করবো।

অন্য খবর  খামারে ঢুকে ১১ কৃষককে গলা কেটে হত্যা

জেবাস্তিয়ান কুর্টস ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে দেশটির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এর আগে ২০১৭ সালে তিনি রক্ষণশীল ওভিপি পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং সে বছরের শেষ দিকে মাত্র ৩১ বছর বয়সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রধানদের একজনে পরিণত হন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে সেটা ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ঘটেছে।

অস্ট্রিয়ার ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করাপশন বিষয়ক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জেবাস্তিয়ান কুর্টস-সহ ১০ জন এবং ৩টি সংস্থার বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাস ভঙ্গ, দুর্নীতি, ঘুষের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে।

প্রসিকিউটররা ইতোমধ্যে চ্যান্সেলরি, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং চ্যান্সেলরের সিনিয়র সহকারীদের বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়েছে।

কুর্টস তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন।

কুর্টসের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টারি কমিশনে একটা মিথ্যা বিবৃতি দেয়ার একটা পৃথক অভিযোগ আনা হয় মে মাসে। সেই তদন্তে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সূত্র : বিবিসি

আপনার মতামত দিন