দোহার নবাবগঞ্জে ঢিলে ঢালা হরতাল পালিত

422

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে সারা দেশে চতুর্থ দিনের হরতাল শেষ হয়েছে রোববার। একই দাবিতে সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। তবে দোহার নবাবগঞ্জে স্থানীয় ভাবে কোন প্রভাব পড়েনি। ছিল না কোন মিটিং মিছিল বা পিকেটিং। তবে কোন বাস ই ঢাকা যাতায়াত করেনি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবদলের এক নেতা জানান, দাদা ( নাজমুল হুদা) বলেছেন আপাততঃ মাঠে থাকার দরকার নাই, সবাই পুলিশি হয়রানি এড়িয়ে নিরাপদে থাকো। আর যারা অগ্রিম জামিন নিয়েছে তারাও নিরাপদ অবস্থান নিবে। সময় হলে নির্দেশ দেওয়া হবে। 

তবে দ্বিধাবিভক্ত দোহার নবাবগঞ্জ বি এন পি এর অন্য আরেক নেতা আঃ মান্নান তার ধানমন্ডির বাসা থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশি বাধায় তা সম্ভন হয়নি।এখান থেকে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে।

তবে বিএনপির নেতা এম ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়।

অন্য খবর  ঠান্ডায় দোহার-নবাবগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল মান্নান পক্ষের নেতা-কর্মীরা নবাবগঞ্জের শুরগঞ্জ থেকে একটি মিছিল বের করে বাগমারা বাজার পর্যন্ত এলে পুলিশের বাধার মুখে ফিরে যায়। পরে তারা শুরগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশ করে।

আবেদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক (মান্নান গ্রুপ) হারুনুর রশিদ ওসমানী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, আবদুল বাতেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন উদ্দিন (ভিপি পলাশ), সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আবু আশফাকের পক্ষের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ সদর দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। বাগমারা বাজার পর্যন্ত গেলে পুলিশের বাধার মুখে তাঁরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন।

সমাবেশে খন্দকার আবু আশফাক অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা, গুম ও মামলা-হামলার রাজনীতিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জুলুমবাজ সরকারের পতন ঘটাতে নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অপর অংশের সহসভাপতি আবদুল ওয়াহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম খন্দকার, মো. আখতার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

অন্য খবর  দোহারে পদ্মায় বালুদস্যুতা নির্বিকার প্রশাসন

আপনার মতামত দিন