ঢাকা দোহার পৌরসভার জয়পাড়া বাজারে মসদিজের সামনে অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান তোলার অভিযোগ উঠেছে। সেই দোকান আবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০,০০০/- টাকার বিনিময়ে। আর এই অভিযোগের তীর জয়পাড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মাঝির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিনে দেখা যায় ,জয়পাড়া বাজার মসজিদের সামনে জায়গা দখল করে, আধা আকা দোকান ঘর তুলে, সেটি চল্লিশ হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে মো: মতি নামে বাজারেরই এক ব্যবসায়ীর কাছে।
এবিষয়ে মো: মতির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ঐস্থানের জায়গাটি ভাড়া নিয়েছি। কত টাকায় নিয়েছেন? জানতে চাইলে তিনি কিছু বলেনি। তিনি আরো বলেন, আমি পলিথিন ( ত্রিপল) দিয়ে দোকান দিচ্ছি, প্রয়োজন হলে দোকান সরিয়ে নিয়ে যাবো।
জায়গা ভাড়ার বিষয় বাজার ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বলেন, আমরা জানি ঐটা সরকারি জায়গা। সেখানে কোন ভাবেই ঘর বা দোকান তোলা যাবে না প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া। আমাকেও প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো ঐ দোকানের সাথে থাকার। কথা বলেছিল, কিন্তু আমি না করে দিয়েছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি জয়পাড়া বাজার কমিটির সেক্রেটারি ও দোহার পৌরসভার আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন মাঝির সাথে কথা হলে তিনি জানান, এটি অস্থায়ী ভবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। টাকা বিষয় জানতে চাইলে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, টাকা কি আমার পকেটে বা তোমার পকেটে গিয়েছে? এ বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
জয়পাড়া বাজার মসজিদ কমিটি জয়েন সেক্রেটারি আবুল হোসেন বলেন, এটি সরকারি জায়গা না, এটা মসজিদের জায়গা। তাই আমরা দেলোয়ার হোসেন মাঝির মাধ্যমে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ভাড়া দেই। এটি ভাড়া বাবদ বাৎসরিক চল্লিশ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে দোহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা আগামীকাল তদন্ত করে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ, এই সরকারি জায়গা দখল করার কারণে সেসময়ে দোহার উপজেলার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বি ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দোকান ভেঙে দেন। তখন তিনি বলেন, এটি সরকারি জায়গা। সরকারি জায়গায় কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না, তা উচ্ছ্বেদ করা হবে।
পরবর্তীতে, কয়েক মাস পর আবার ঐ স্থানটি দোকান তোলার জন্য পাকা করলে দোহার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোবাশ্বের আলমকে জানালে, তিনি বলেন, ঐ স্থানে পাকা করা হচ্ছে ড্রেনেজ এর কাজের জন্য। দোকান তোলার জন্য না। যদি কোন সময় দোকান তোলা হয় তখন আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দোহার উপজেলা ইউএনও কে এই বিষয়ে দুইবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।