স্টাফ রিপোর্টার: সত্যিই এক নিরব অবহেলার মধ্য দিয়ে চলছে শিকারীপাড়া ইউনিয়নের সকল রাস্তা। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও কোন কাজ হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় কথার ফুলঝুরি থাকলেও পরে তাদের দেখা মেলে না আর।
ভুক্তভোগী জনসাধারণের কষ্টের কথা শুনার যেন কেউ নেই। শিকারীপাড়া ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে এমন চিত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্ড মেম্বার বলেন, “তিনি নিজে একাই সব কাজ করেন। আমাদের সকোন কাজে সংশ্লিষ্ট করতে চান না, শুধু এতটুকুই বললাম”। শিকারীপাড়া ইউনিয়নের একাধিক লোকের অভিযোগ পাশের ইউনিয়ন বারুয়াখালীতে কোন কাঁচা রাস্তা নেই। তাহলে আমাদের এখানে কাজ না হওয়ার কারণ আমরা বুঝতে পারছি না।
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, নির্বাচনের আগে এই করবো সেই করবো বললেও পরে কোন কাজ করেননি চেয়ারম্যান সাহেব। যেখানে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে সেই জায়গায় নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের দৃশ্য একটু ভিন্ন। প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষের যেন অভিযোগের শেষ নেই। বাধ্য হয়ে অনেকে নিজ অর্থায়নে রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে। না হলে বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না লোকজন।
অনেকে বলেন, শিকারীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেব প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জননেতা সালমান এফ রহমানের ইজ্জত নষ্ট করেছেন কারণ সর্বশেষ সাধারণ জনগণ এই সরকারকেই দোষ দিবেন যে এখানে কোন কাজ করেননি। এই ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা জনরোষের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।