আল-কোরআনে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা

1689

কোরআন ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীতে মানুষের উপর হেদায়াতের বানীতে নিয়ে আরশেআজিম থেকে নাজিল হয়েছে। ১৪০০ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোরআন পুরোনো হয় নি, বরং প্রতি শতাব্দীতে কোরআন আবিষ্কৃত হয়েছে নতুন ভাবে।
সুরা আন নাজম, কোরআনের ৫৩ নাম্বার সুরা। কোরআনের এই সুরার নামের অর্থ নক্ষত্র। এই সুরার ৪৯ নাম্বারের আয়াতে বলা হয়েছে “…… তিনি শিরা নক্ষত্রেরও মালিক।” এখানে শিরা নক্ষত্র বলতে ১৪০০ বছর আগে কাকে নির্দেশ করা হয়েছে। আসুন আধুনিক বিজ্ঞানের দিকে তাকাই।
আরবি শব্দ শিরা বলতে আসলে বোঝানো হয়েছে আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র সিরিউসকে। এখন আসি এই সিরিয়াস নক্ষত্র নিয়ে। সিরিউস নক্ষত্র মুলত একটি বাইনারি স্টার সিস্টেমের তারকা। বাইনারি স্টার সিস্টেম মুলত বোঝায় জোড়া নক্ষত্রকে। যারা একটি নির্দিষ্ট গ্রাভিটি সিস্টেমকে কেন্দ্র করে পরস্পরের দিকে আবর্তন করে। তাই সিরিউস মুলত একটি নক্ষত্র না, এটি মুলত দুইটি নক্ষত্র। সিরিউস A এবং সিরিউস B। সিরিউস A মুলত একটি স্বাভাবিক নক্ষত্র, এটি সূর্যের মতো বর্তমান অবস্থায় আছে। কিন্তু সিরিউস B তার স্বাভাবিক জ্বলন ক্ষমতা হারিয়ে বর্তমানে বামন নক্ষত্রে পরিনত হয়েছে। যার আকৃতি চাপতে চাপতে একটি পৃথিবীর সমান আকৃতি ধারন করেছে। যার থেকে কোন আলো আসে না। কিন্তু আকর্ষণ ক্ষমতা দানবীয়। ফলে নিজের থেকে কয়েকশো কোটি গুন বড় সিরিউস A কে ঠিকই বেধে রাখতে পেরেছে সিরিউস B। এখন কথা হচ্ছে সিরিউস A আলো থাকার ফলে এটি দৃশ্যমান ছিল, কিন্তু আলো না থাকার ফলে এটার হদিশ মানুষ পায়নি ১৯ শতক পর্যন্ত। ১৮৬২ সালে আলভিন গ্রাহাম ক্লার্ক এই সিরিউস B তারাটা আবিস্কার করেন। এর আগ পর্যন্ত এই তারাটার অস্বিত্ব কারোই জানা ছিল না।
কিন্তু ১৪০০ বছর আগে সুরা আন নাজমে আল্লাহ বলেন, নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়। তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি। এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না। কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়। তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা, সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল। উর্ধ্ব দিগন্তে, অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল। তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম। তখন আল্লাহ তাঁর দাসের প্রতি যা প্রত্যাদেশ করবার, তা প্রত্যাদেশ করলেন। সুরা আন নাজম(১-১০) মুলত ৯ নং আয়াতে বলেন, তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম। আবার ৪৯ নং আয়াতে বলেন, …… তিনি শিরা নক্ষত্রেরও মালিক। সুরার প্রথম দিকের আয়াতগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায় এখানে এক জোড়া নক্ষত্রের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে। ২য় আয়াতে বলা হয়েছে, তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি। আবার ৯ নং আয়াতে বলেছেন, তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম। আবার ৪৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, …… তিনি শিরা নক্ষত্রেরও মালিক।
মুলত সবগুলো আয়াতেই একটার দিকে নির্দেশ করছে সেটা হচ্ছে শিরা নক্ষত্র যার ইংরেজি নাম সিরিউস। প্রথমেই বলেছি সিরিউস নক্ষত্র দুইটি তারার সমন্বয়ে গঠিত একটি স্টার সিস্টেম যেখানে একটি তারা আরেকটির পুরোপুরি বিপরীত। কিন্তু আল্লাহ ঘোষনা করেন তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
আবার ৯ নং আয়াতে বলেছেন, তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম। আল্লাহ এখানে মুলত দুইটি তারার আকাশে অবস্থানের কথা বলেছেন যাতে তাদের একটি নির্দিষ্ট অবস্থার কথা বলা হয়েছে যাতে তারা বিচ্ছিন্ন হয় না আবার একভূত হয় না, যা মুলত স্টার গ্রাভেটির কথাই বলে। এবং ৪৯ নং আয়াতে এসে আল্লাহ ঘোষনা দেন, …… তিনি শিরা নক্ষত্রেরও মালিক। যার সবকিছু এই সিরিউস নক্ষত্রের দিকেই ইঙ্গিত করে।
আরেকটি ব্যাপার ৯ নং আয়াতে বলেন, তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।
আবার ৪৯ নং আয়াতে এসে আল্লাহ ঘোষনা দেন,.. তিনি শিরা নক্ষত্রেরও মালিক।
এখন আপনি জানেন দুইটি তারা পরস্পরের দিকে আবর্তন হয়, একটি নির্দিষ্ট সময় পর তারা আগের অবস্থানে ফেরত আসে, আমাদের সৌর বছরের মতো। এখন সিরিউস A ও সিরিউস B পরস্পর আবর্তন হতে কত সময় লাগে জানেন ৪৯.৯ সৌর বছর। আর সুরা নাজমের কত কত আয়াত সিরিউস নক্ষত্রের কথা সরাসরি এসেছে। ৪৯ ও ৯ নং আয়াতে। ৪৯.৯ বছর! পরিচিত মনে হয়

আপনার মতামত দিন