দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন ফুটপাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যেখানে-সেখানে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী। বিকাল হলেই দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফুটপাতে গড়ে ওঠে অস্থায়ী ইফতারের দোকান। ফুটপাতের দোকানে ইফতার বিক্রি করা হলেও খাবারের ওপর কোনো ঢাকনা নেই। এতে খাবারের ওপর যেমন ধুলাবালি পড়ছে তেমনি যুক্ত হচ্ছে মাছি। এছাড়া বাসি খাবারও বিক্রি করা হচ্ছে টাটকা খাবার হিসেবে।
খোলা ও বাসি খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নবাবগঞ্জ ও জয়পাড়া বাজার ফুটপাতে অন্তত শতাধিক ইফতার সামগ্রীর অস্থায়ী দোকান রয়েছে। এছাড়াও নবাবগঞ্জ উপজেলার শিকারীপাড়া, দাউদপুর, আলালপুর, বাংলাবাজার, তুইতাল, হাগ্রাদী, বারুয়াখালী, ঘোষাইল, রাজাপুর, বান্দুরা, মাঝির কান্দা, দোহার উপজেলার ধোয়ার, বাহ্রা, কার্তিকপুর, পালামগঞ্জ …….. এলাকার ফুটপাতে বিকাল গড়ালেই গড়ে ওঠে অসংখ্য ইফতার খাবারের দোকান।
এছাড়াও দোহার-নবাবগঞ্জের অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইফতার সামগ্রীর দোকান। বারুয়াখালী বাজারের ইফতার বিক্রেতা আরশেদ আলী বলেন, প্রতি বছরই একটু বাড়তি ইনকামের জন্য রোজার মাসে ইফতার বিক্রি করি। গত বছরের তুলোনায় এ বছর বিক্রি একটু বেশি। সামনে আরো বিক্রি বাড়বো।
দাউদপুর বাজারের ইফতার বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন বাজারে অনেক দোকানে ইফতার বিক্রি করে তাই আগের তুলোনায় এ বছর বাজার তেমন ভালো যাচ্ছে না। তবে আর কিছু দিন পর আর একটু বিক্রি বাড়তে পারে। সুযোগে কোনো কোনো দোকানি আগের দিনের থেকে যাওয়া ইফতারের খাবারের সঙ্গে পরের দিনের ইফতার মিলিয়ে টাটকা খাবার হিসেবে বিক্রি করছেন। তবুও এসব দোকানিদের দম ফেলার সুযোগ নেই। রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষ। খাবার বাসি ও অস্বাস্থ্যকর জেনেও কিনছেন অনেক ক্রেতা। দামে একটু সস্তা হওয়ায় টাকা দিয়ে কিনেও অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার খেতে যেন বাধ্য হচ্ছেন নিন্ম আয়ের মানুষেরা।