বর্ষায় ঘুরে আসুন তিতপালতিয়া স্লোইসগেট থেকে

553

মাথার ওপর বিস্তীর্ণ নীল আকাশ। চারপাশে সুবজের সমারোহ।  দিগন্তজুড়ে চারিপাশে পানি আর পানি। স্থাণীয়দের মনোমুগ্ধকর আতিথেয়তা। সব মিলে এক অন্য রকম অনুভূতি। এ যেন কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা। স্থানটি নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের তিতপালতিয়ার স্লুইসগেট। বর্ষায়  এখানে দেখা যায় এক অন্যরকমের দৃশ্য। বৈচিত্রময় পরিবেষ্টিত বর্ষার দিনে তিতপালতিয়ার স্লুইসগেট ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। স্লুইসগেটের  এ পাশ থেকে অন্যপাশে পানির ঝিরঝির মত শব্দ আর পাখির কলকাকলি স্লুইসগেটের আকর্ষণ এ যেন এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। চারি দিকে সবুজ-শ্যামল আর ঝরনাবেষ্টিত শব্দে নবাবগঞ্জের সীমান্ত অঞ্চলের তিতপাদিয়ার স্লুইসগেট  এখন পরিণত হয়েছে নবাবগঞ্জের পশ্চিম অঞ্চলের অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবে। প্রতিদিন বিকালে এখানে এক অন্য রকমের পরিবেশ সৃষ্ঠি হয়।

স্লুইসগেটে ঘুরতে আসা প্রবাসি আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই বছর আগে একবার  এসেছিলাম সেই প্রথম দেখাতেই ভালো লাগে এ জায়গাটি। বিদেশে থাকায় প্রতি বছর আসতে পারি না কিন্তু বর্ষার দিনে এ জায়গাটির কথা মনে হলে ছুটে আসটে মনে চায়।  এ দিনে অনেক মিস করি এখানকার অপরূপ দৃশ্য। এখানে আসলে যেনো হারিয়ে যাই কোন এক অজানা প্রান্তরে।

অন্য খবর  পক্ষ ত্যাগ করায় ছাত্রদল নেতা প্রহৃত

অন্য এক ভ্রমনপিপাসু সুবর্ণা সাহা জানায়, স্লুইসগেটে বর্ষার এ মনমুগ্ধকর দৃশ্য  দেখতে প্রতি বছরই এখানে ছুটে আসি সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করতে। বদ্ধ ঘরে বন্ধ জানালার ভিতরে আর যেন পেরে উঠছেনা জীবনের বাকি দিন গুলো। তাই অন্য রকমের অনন্য এক পরিবেশে কয়েক মিনিটের জন্য যেন হারিয়ে যেতে মন চায়। প্রতি বছরই এখানে আসি এখানকার রূপ, সৌন্দর্য, বর্ষায় ভেসে যাওয়া বাড়ি ঘড়, আরো  কত কি দৃশ্য উপভোগ করতে যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।

স্থাণীয়দের কাছে থেকে জানা গেছে, রোজার কারনে এখন দর্শক আগের তুলনায় কম। তবে ঈদের পর দর্শক সংখ্যা আরো বাড়বে।

নগর জীবনের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে দূর তিতপালদিয়া স্লুইসগেটের কোলাহলমুক্ত  পরিবেশ, নির্মল বাতাস আর শ্যামল বৃক্ষরাজির বিন্যাস পর্যটকদের বার বার কাছে টানে। সন্ধা হলে সূর্যাস্ত দেখার দৃশ্য এ যেন এক স্বপ্নের ছোঁয়া। প্রকৃতির এ অপার  সৌন্দর্যের নাম তিতপালদিয়া স্লুইসগেটের। রাস্তার একপাশে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য  অন্যপাশে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের খেলা করছে এবং রাস্তায় গাড়ি চালানোর রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলো যেকোনো পর্যটকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে তিতপালদিয়া স্লুইসগেট ধীরে ধীরে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। স্বচ্ছ  জলরাশি আর দু’ধারের অপরূপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌকা ভ্রমণের সাধ যে কোনো মানুষের  কাছে এক দুর্লভ আকর্ষণ। চারিদিকে শুধু দুই চোখ ভরে দেখার পালা। গ্রামীণ মানুষের কর্মব্যাস্ততা, অন্যদিকে বর্ষার পানিতে ভাষা মানুষের বাড়িঘড় সবই উপভোগ্য হবে  তিতপালদিয়া স্লুইসগেট যাত্রায়।

অন্য খবর  দোহারে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি

যোগাযোগের ব্যাবস্থা, যে কোন স্থান থেকে নবাবগঞ্জের বান্দুরা ইজিবাইক ষ্ট্যানে আসুন  সেখানে থেকে বারুয়াখালী বাজারে আসুন বাজার থেকে সোনাবাজু বেড়িবাঁধের দক্ষিন দিকে তিতপালদিয়া স্লুইসগেট।

আপনার মতামত দিন