সহিংসতায় থমথমে দোহার : এখনো মামলা হয় নি

259

দোহারের বিলাসপুরে দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও মামলা করা হয় নি, থানা সূত্রে জানা গেছে মামলার প্রস্ততি চলছে। বিলাসপুর ইউনিয়ন ও মাহমুদপুর ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

দোহার পুলিশ জানায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন বিলাসপুর ইউনিয়নের দক্ষিন দেবিনগর গ্রামের আজিজ চোকদারের পূত্র আনোয়ার চোকদার, একই গ্রামের খোকন হোসেন ও তোতা মিয়া।

সংঘর্ষের পর র‍্যাব-১১ এর ডিএডি আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে দেখেন হাজারবিঘার রাস্থায় ছোপ ছোপ রক্ত। সেখানে প্রায় দুই শতাধিক যুবক রাম দা’, হকি স্টিক নিয়ে অবস্থান করছে। র‍্যাবের ধাওয়ায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ছয় জন নিহত বলা হলেও পরে পুলিশ পক্ষ থেকে জানানো হয় আসলাম ও রিজাউল এখনো মিটফোর্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেঁচে আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঘটনার সূত্রপাত আগের দিন, ভোটের ফলাফল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। তার জের ধরেই সোমবার সকালে হুকুম আলী চোকদার পক্ষ আলাউদ্দিন মোল্লা পক্ষের উপর হামলা করে। ঘটনার পর হুকুম আলী চোকদার সহ তার পক্ষে বেশিরভাগ লোক পলাতক আছেন।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন

এই ঘটনায় এই আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এডভোকেট সালমা ইসলাম পরাজিত আওয়ামী প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ও তার ভাই মোতালেব খানকে অভিযুক্ত করেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “নির্বাচন নয় পারিবারিক বিষয়টিই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। নির্বাচনে হেরে হয়তো ক্ষোভ বেড়েছে। তবে এটা কোনোভাবেই নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয়।“

উল্লেখ্য দোহার পদ্মাতীরবর্তী চরাঞ্চল এই বিলাসপুর ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে মোল্লা পরিবার ও চোকদার পরিবারের মধ্যে ঐতিহ্যগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত পাঁচ বছরে দুই পরিবার একই ধারার রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় বড় ধরণের সংঘর্ষ বাধে নি। যেহেতু এখন দুই পরিবার দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়েছে তাই এলাকাবাসী আশংকা করছে সংঘর্ষ এখানেই শেষ নয়, নতুন মাত্রা পেল মাত্র।

আপনার মতামত দিন