জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুগান্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, দুর্নীতি আর দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে হলে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই। তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে তাতে আবারও জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসবে। জাতীয় পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক তৎপরতা সুসংগঠিত করে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নে যমুনা গ্রুপের নিজস্ব অর্থায়নে অসহায়-দুস্থদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল ৮টা থেকে পর্যায়ক্রমে পাতিলঝাপ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, ১০টায় শোল্লা ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, দুপুর সাড়ে ১২টায় মদনমোহনপুর স্কুল মাঠে কয়েক হাজার শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন তিনি।
প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জনগণ চায়। যতই ষড়যন্ত্র করুন দেশের স্বার্থে জনগণ তা ছাড় দেবে না। তিনি আরও বলেন, যমুনা গ্র“পের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুল রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করছেন। আগামীতে গ্যাসের সংযোগ দিয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে এলাকায় শিল্পকারখানা ও জীবনযাত্রার মান উন্নীত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দোহার নবাবগঞ্জ এলাকায় কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
পাতিলঝাপ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাকাতের শাড়ি নিতে এসে বয়সের ভারে ন্যুব্জ জবেদা খাতুন বলেন, আমগো পোলা পতিবছর কাপুড় চুপুর চাউল-ডাউল দিয়া বাঁচাইয়া রাখে। ওর কম্বল পাইয়া শীতে বাইচ্ছা আছি। আল্লা ওরে আরও বেশি বেশি টেকাপয়সা দিক। মন্ত্রী-এমপিরা আমাগো লিগা সব করে দিবার কতা কয়। কিন্তু কেউ কতা রাহেনা। কেউ কিছুই তো করলো না ভোট গেলে তাগো আর খোঁজ থাহে না। তাদের আর কাউরে ভোট দিমু না। এবার আমগো পোলা বাবুলের বউকে ভোট দিমু এবং ছেলে মাইয়াগো ভোট দিতে কহুম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব শরফুদ্দিন আহম্মেদ শরীফ, শোল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান ফজল, নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, জুয়েল আহম্মেদ, মোঃ খলিলুর রহমান, মোঃ শাহজাহান, শেখ ফরিদ আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক মোল্লা, একেএম আবদুল হালিম, খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেনসহ স্থানীয় জাতীয় পার্টি, যুবসংহিত, মহিলা পার্টি ও ছাত্রসমাজের নেতারা।