ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বাস্তা এলাকায় “বাস্তা তুজমল খান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” নাম ভাঙিয়ে ২৭ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ এলাকার আনোয়ার হোসেন খান মাষ্টার গংদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় দোহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বাস্তা গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিন শিকদার এর ছেলে হারুন অর রশিদ শিকদার।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার মৃত জহুর উদ্দিন শিকদার গং ঐ জমিটি স্কুল স্থাপন করতে দায়িত্ব দেন মাস্টার আনোয়ার হোসেন খানকে। যাহার তফসিল বড় বাস্তা মৌজার এস. এ ৪৯৩ আর.এস ১৯৩৬/ ১০৫০ নং দাগে ২৭ শতাংশ জমি। আনোয়ার মাস্টার তার মৃত পিতা তুজমল খান এর নামে ‘বাস্তা তুজমল খান প্রাথমিক বিদ্যালয়’ স্থাপন করেন। ৩/৪ বছর সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে স্কুলটি পরিচালনা করে হঠাৎ স্কুল পরিচালনা করা সম্ভব না বলে যায়গাটি তিন ভাগ করে তিন ভাই জোর করে দখল করে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়ি-ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় দোহার থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন খান, আফছার খান ও ইউনুস খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জোর পূর্বক জমি দখলের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, তারা তাদের কাগজ পত্রের ভিত্তিতে ঘর তৈরি করেছে। স্কুলের কথা জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন খান মাষ্টার বলেন স্কুল ছিলো এখন নেই, এখানে স্কুল পরিচালনা করা সম্ভব না।
দোহার থানাধীন চর মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. ইদ্রিস আলী জানান, স্কুলের সাইনবোর্ড সহ স্কুল পরিচালনার প্রমাণ পেয়েছি, জমি দখলের ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।