দোহারে বিদ্যুৎ ভোগান্তি চরমে

320

সোহাগ ♦ দোহারে বিদ্যুৎ সঙ্কট ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দৈনিক ন্যুনতম চার-পাচ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে গ্রাহকেরা। এছাড়াও প্রতি ঘন্টার লোডশেডিং তো আছেই; তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদুৎ বিতরণ ত্রুটিজনিত বিভ্রাট।  তীব্র গরমে বিদ্যুতের এ ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে দোহারের জনজীবন। গতকালও কমপক্ষে ১ হাজার ৭শ(?) মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি নিয়ে লোডশেডিং করা হয়েছে যথেচ্ছভাবে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী দফায় দফায় আশ্বস্ত করেছিলেন এক বছরের মাথায় লোডশেডিং থাকবে না। ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল লোডশেডিংমুক্ত বাংলাদেশের। লোডশেডিং এর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থী সহ সমাজের প্রতি শ্রেনীর মানুষ।

সুন্দরীপাড়া গ্রামের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী আকাশ, আতাউর,রাকিব সহ আরো অনেক পরীক্ষার্থী নিউজ৩৯ কে জানান,পরীক্ষা চলছে;কিন্তু লোডশেডিং এর কারনে ভালভাবে পড়তে পারছি না। রাতে হ্যারিকেন অথবা মোমবাতি  জ্বালিয়ে পড়তে হয়।

শিলাকোঠা নিবাসী কৃষক আরজান শিকদার জানান, বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমত জমিতে পানি দিতে পারছি না। এতে করে কৃষিকাজ হুমকির মাঝে পড়ে গিয়েছে। ঘরে ঘরে শিক্ষার্থী, শিশু ও বাড়ির মহিলারা  লোডশেডিংয়ের কারনে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন। দেখা দিয়েছে সর্দি, কাশি, জ্বর ও ডাইরিয়ার প্রকোপ।

অন্য খবর  তরুণেরাই গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ: ইসলামাবাদ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আলমগীর হোসেন

বিত্তবানরা আইপিএস ও জেনারেটর দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলেও মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত পরিবারের অবস্থা করুন । এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে; তার ওপর জেনারেটরে ডিজেল ব্যবহারের সামর্থ্য হারিয়েছেন অনেকেই। এছাড়াও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আইপিএসও ঠিকমত চার্জ হচ্ছে না।

গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলের পাশাপাশি জেনারেটর বিল, কেরোসিন, মোমবাতির টাকা গুনতে হচ্ছে সমান তালে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিকট বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলেই তারা গ্রাহকদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন বলে গ্রাহকদের অভিযোগ।

আপনার মতামত দিন