দোহারে জন্ম নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা পালিত

57
দোহারে জন্ম নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা পালিত

ঢাকার দোহারে জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস- ২০২০ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের এ দিবসটির প্রতিপাদ্য-“নাগরিক অধিকার করতে সংরক্ষণ। ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এ ধারাবাহিকতা সামনে রেখে আজ মঙ্গলবা(০৬অক্টোবর) দোহার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস- ২০২০ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এই অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দোহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ।

সভা পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। এই সময় তিনি বলেন,দোহারে যত হাসপাতাল ও সাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং যতটি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে এরা যদি মাসে কতটি শিশু জন্ম গ্রহণ করলো তার তথ্য একটি প্রতিবেদন জমা দেয় তাহলে জন্ম নিবন্ধনের সমস্যা দূর হবে। এসময় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর সহ সচিবদের জন্ম ও মৃত্যু সনদের সমস্যা গুলো তুলে ধরেন।

দোহার উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, দিবসটি পালন করার উদ্দেশ্য জন্ম সচেতনতা বৃদ্ধি, ২০০৪ সালে জন্ম নিবন্ধন আইন হয়েছে পরর্বতীতে সংশোধনী হয় ২০১৩ সালে,বর্তমানে সেই আইনটি বলবৎ রয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আইন হয়েছে, সে পর্যায়ে আমরা সচেতন না।যখন আমাদের কর্ম ক্ষেত্রে প্রোজন হয় তখন করে নেয় এতে সমস্যা তৈরি হয়।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে নৌকার মাঝি হলেন যারা

ফিরোজ মাহমুদ আরো বলেন,যেহেতু আমাদের সরকারি আইন রয়েছে আইনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাই ৪৫দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন ও সচেতন করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী বলেন,আমাদের বাঙ্গালিদের মধ্যে কিছুটা সচেতনতার অভাব রয়েছে, সবাই পরিবর্তন হচ্ছে, আমরা পরিবর্তন হচ্ছি,সরকার পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, জন প্রতিনিধিরা চেষ্টা করছে, সময় লাগবে আমাদের সময় দিতে হবে, যদি জন্ম তারিখ বা মৃত্যু ঠিক না থাকে তাহলে সঠিক ভাবে তদন্ত করে সনদ দিতে হবে এবং চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঠিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ৪৫দিনের মধ্যেই যে জন্ম সনদ করতে হবে এরকম কোন আইন নেই তবে সরকারি নির্দেশনা আছে, তবে ৪৫ দিনের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন হতে হবে,যদি কেউ ভুল তথ্য দিয়ে বা সনদ কারি কোন ভুল তথ্য দেয় সেক্ষে দুজনেরই শাস্তি ও জেল জরিমানা হবে এবং সবার জন্য ডাটাবেজ বা সম্বলিত ডাটাবেজ হচ্ছে এটা দিয়ে যাচাই করা যাবে কেউ একই নাম বা পিতার নামে ডাটাবেজ আছে কিনা।

এসময় তিনি আরো বলেন, শিশু জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দায়িত্ব যে চেয়ারম্যানদের তা নয়, দায়িত্ব আমাদের সবার, এক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে, শিক্ষা পর্যায়ে,মাতৃত্ব কালিন ভাতা পর্যায়ে কাজ করছি।আমরা কোন ভাবেই যাচাই বাছাই না করে কোন জন্ম সনদ বা মৃত্যু সনদ দেয়া হবে না।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জে আশফাকের বিক্ষোভ মিছিল

এ এফ এম ফিরোজ বলেন,আমাদের বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অধিদপ্তর মাধ্যমে ফ্যামিলি প্যালেনিং এর জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা রয়েছে, সবার এবিষয়ে দায়বদ্ধতা রয়েছে এবং যে শিশুদের টিকা দেয়া হয় তাদের দ্বিতীয় টিকা দেয়ার আগে জন্ম সনদের জন্য বলে দিতে হবে, এতে সমস্যার সমাধান হবে।

আপনার মতামত দিন