দোহারবাসি আগে যা দেখে নি; এবার দেখলো তা !! পটকা ও বাজির শব্দে ঈদের আনন্দ উৎসব মুখর হলেও পরবর্তীতে তা রুপ নিয়েছে বিরক্তি ও ক্ষোভের। একটানা বিরিতীহীন (এক সেকেন্ডের জন্যও থামেনি) চলেছে এই পটোকাবাজী। আর দুষ্টুমীর ছলে মানুষের উপর নিক্ষেপ করা এই পটকাবাজিতে আহত হয়েছেন ও কেউ কেউ। আবার কোন কোন স্থানে হাতাহাতি-মারাম্রির ঘটনাও ঘটেছে।
আর এতে ঈদের আগের রাত অর্থাৎ চান রাতের দিন শুধু এক দোহার থানায়-ই পুড়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকার পটকা। চান রাতের দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু করে ঈদের প্রথম জামায়াত সকাল ৮টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলে এই পটকা বাজি। দোহার পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে একই ভাবে পুড়েছে এই ৬ কোটি টাকার বাজি।
দোহার উপজেলার লটাখোলা গ্রামের কমল হাসান নামক এক ব্যাক্তি নিউজ৩৯ কে বলেন, ভাই- এর কি কোন প্রতিকার নাই। এই মাঝ রাতেও ঘুমাতে পারছি না পটকার শব্দে। মনে হচ্ছে যুদ্ধ আক্রান্ত ফিলিস্তিনের গাজা-তে আছি। হার্টের রোগী থাকলেতো ভাই মারা যাবে। আর এটা কি ধর্মের সৌন্দর্য অমুসলিমদের নিকট নষ্ট করছে না?
নিউজ৩৯ এর অনুসন্ধানে দেখা যায়, সময় ও টাকার আনুপাতিক গড় হিসাবে চাঁদ রাতের দিন ৬ কোটি টাকারও উপরে অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত থেকে আট কোটি টাকার পটকা ফুটেছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার সাদাপুর গ্রামের এক পটকা বিক্রেতা জানান, তিনি শুধু ঈদের আগের ৩ দিনেই প্রায় ৩০ লাখ টাকার পটকা বিক্রি করেছেন।
দোহারে প্রায় ২০০ টি হট স্পটে হরদম পটকা বিক্রি হয়েছে। সরকারের থেকে নিষেধ থাকলেও প্রশাসন ছিল একেবারেই নিশ্চুপ-নির্বিকার। জনসাধারণের মনে বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, যখন ফিলিস্তিনের গাঁজা যুদ্ধাক্রান্ত, যখন একে একে পদ্মার ভানগনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দোহার উপজেলা; তা নিশ্চিতভাবে বাড়াবাড়ী ও অর্থের ব্যাপক অপচয়। শুধু এই কয়টা টাকা দিয়েই হয়তো বা হাসি ফুটানো যেত নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব মানুষের। অভিভাবকদের নৈতিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির সাথে সাথে সচেতন হওয়ার ও পরামর্শ দিয়েছেন সবাই।