চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ, আগামী দু’মাসে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান ব্যবসায়ীরা। এতে সরগরম হয়ে উঠেছে পুরো মাছ ঘাট; আর তাতেই খুশি আড়তদাররা। ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে কিছুটা। তবে ক্রেতাদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আগামী দু’মাস পদ্মা-মেঘনায় চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া গেলে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আশা ব্যবসায়ীদের।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় খুব একটা ইলিশের দেখা মিলছে না। তবে মাছঘাটে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বেশ খুশি আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। তবে এসব ইলিশের বেশিরভাগই সাগরমোহনা এলাকার। আকার ভেদে এসব ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১-২ হাজার টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ অনুযায়ী দাম কমেনি তেমন। বেশিরভাগ ক্রেতাই রয়েছেন ইলিশের দাম নাগালে আসার অপেক্ষায়। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের দাবি, লোকাল মাছের আমদানি কম হলেও দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রতিদিন আসছে ইলিশ।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত এ প্রসঙ্গে বলেন, গত ৪-৫ দিন যাবত মাছের আমদানি একটু বেড়েছে। তাও অত বেশি না, ৫০০ বা ৬০০ মণের মতো। এসবের মধ্যে ৪০-৫০ মণ বড় মাছ আসে। সেগুলোর ওজন হয় সাধারণত ১ কেজি বা ১১০০-১২০০ গ্রাম।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারি জমাদার মানিক জানালেন, গত এক সপ্তাহে মাছের সরবরাহ অনেকটাই বেড়েছে। তবে তা গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশেরও কম। সত্যি বলতে, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী মাছ এখনও আসছে না।