১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যে জন্মদিন পালন করেন সেটাকে মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএ’ও চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করার পর খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট কেক কেটে জন্মদিন পালন শুরু করেন। জাতির জনকের শাহাদত বার্ষিকীতে কেক না কাটারও আহ্বান জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
মঙ্গলবার শোকের মাসের দ্বিতীয় দিনে শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দুইবারই তিনি মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন সময় দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কথা বলায় তিনি দল থেকে বহিষ্কার হন। কয়েক দফা দল গঠনের পর সম্প্রতি তিনি তার দল ও জোট নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে জোটের কারো কারো আপত্তিতে তিনি শেষ পর্যন্ত ১৪ দলে যোগ দিতে পারেননি। তবে ১৪ দলের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সরকারের অনেকটা কাছে ভিড়েন এক সময়ের বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা।
১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন সম্পর্কে নাজমুল হুদা বলেন, ‘জামায়াতকে সাথে নিয়ে জোট গঠন করে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থেকে আগস্ট মাসে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলছিল। সেটাকে স্তব্ধ করার জন্যই ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন নামক নাটকের অবতারণা করেন খালেদা জিয়া।’
ব্যারিস্টার হুদা বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে ছিলাম। আমি লক্ষ্য করেছি যখন চারদলীয় জোট করে জামায়াতকে সঙ্গে নেয়া হয় তখন বিএনপির রাজনীতিতে হঠাৎ করে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন হিসেবে পালন করা শুরু হয়।’
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট দিনটিকে আপনি জন্মদিন হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ১৫ আগস্টকে বিতর্কিত করতে আপনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনি শত চেষ্টা করেও পারবেন না, এ জাতি তা নসাৎ করে দিবে। দিনটিকে শোক দিবস হিসেবে পালন করুন।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘যারা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখেন, যেকেনোভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেন, তারাই আজ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের হোতা। তাদের চিহ্নিত করতে হবে, এটা করা কোনো কঠিন কাজ নয়। এদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে।’